শুক্রবার আরও পাঁচটি অর্থলগ্নি সংস্থার নামে এফআইআর করল সিবিআই। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থাটি জানিয়েছে, এই সংস্থাগুলি হল, অ্যাঞ্জেল গ্রুপ অফ কোম্পানিজ, পিএএফএল ইন্ডাস্ট্রিজ, রয়্যাল ইন্টারন্যশনাল ট্রেডিং, উইন রিয়েলকন এবং আসদা অ্যাগ্রো প্রজেক্টস। কিছু দিন আগেই কিছু রাজনৈতিক নেতা অভিযোগ করেছিলেন, সিবিআই ওড়িশায় ৪৪টি এফআইআর দায়ের করলেও পশ্চিমবঙ্গে শুধু সারদার বিরুদ্ধেই তদন্ত করা হচ্ছে। সারদার নামে চারটি এফআইআর করে এই রাজ্যে তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই। সেপ্টেম্বর মাসে এমপিএস গ্রিনারি ও আকাশদীপ নামে রাজ্যের দু’টি অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তারা। এ দিনের পাঁচটি নিয়ে রাজ্যে এফআইআর-এর সংখ্যা দাঁড়াল ১১।
এ দিন সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণা, ষড়যন্ত্র-সহ অন্য অভিযোগে এই পাঁচটি সংস্থার এমডি এবং ডিরেক্টরদের নামে মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযোগ, সারদার মতো এই সংস্থাগুলিও বিভিন্ন প্রকল্প দেখিয়ে নিয়ম বর্হিভূত ভাবে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলেছে। সারদা ছাড়াও রোজ ভ্যালির বিরুদ্ধে পুরোদস্তুর তদন্তে নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কিন্তু শুক্রবার করা সিবিআইয়ের এফআইআর-এর তালিকায় রোজ ভ্যালির নাম নেই। কারণ এই সংস্থার বিরুদ্ধে ওড়িশায় করা এফআইআর-কে ভিত্তি করেই এখানে তদন্ত করতে পারবেন সিবিআই অফিসারেরা।
ওরিসন গ্রুপ অফ কোম্পানিজ-এর অন্যতম ডিরেক্টর সাগর রায় এ দিন ওড়িশায় সিবিআইয়ের হাতে ধরা পড়েছেন। তিনি অভিযুক্ত অথর্লগ্নি সংস্থা অর্থতত্ত্ব-র কাছ থেকে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট এবং তাঁর নিজের সংস্থার অ্যাকাউন্টে প্রচুর টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ। কেন তিনি অত টাকা নিয়েছেন তার কোনও সদুত্তর সাগরবাবু দিতে পারেননি বলে এ দিন সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।
এ দিনও ইডি অফিসারদের চাহিদা অনুযায়ী নিজের আয়কর সংক্রান্ত কাগজ জমা দিতে পারেননি ব্যবসায়ী রাজারাম শরাফ। রাজারামবাবুর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই প্রাক্তন তৃণমূল নেতা আসিফ খানকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। রাজারামবাবুর অভিযোগ ছিল, রাজারহাটের একটি জমি পাইয়ে দেবেন বলে আসিফ তাঁর কাছ থেকে ৮ কোটি টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছেন। রাজারামবাবু কোথা থেকে ওই ৮ কোটি টাকা পেলেন, সেই টাকার হিসেব তিনি আয়কর বিভাগকে দিয়েছিলেন কি না, সে সবই জানতে চায় ইডি। কেন তিনি আয়কর সংক্রান্ত কাগজ জমা দেননি, সে প্রশ্নের কোনও উত্তর এ দিন ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে রাজারামবাবু দেননি। তবে যে টাকা তিনি আসিফকে কয়েক দফায় দিয়েছেন, তার হিসেব তিনি আয়কর রিটার্নে দেখিয়েছেন বলে এ দিন দাবি করেন রাজারামবাবু।