পলিটব্যুরো সূর্যকান্ত মিশ্র থেকে ইরফান হাবিব, কারও কথা মানতেই নারাজ। দলের পার্টি কংগ্রেসে গৃহীত প্রস্তাবই তাদের কাছে পবিত্র ও চূড়ান্ত! কিন্তু সিপিএমের বঙ্গ ব্রিগেড যে নিজস্ব পথেই এগোতে চায়, ফের তার প্রমাণ মিলতে চলেছে।
দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যা-ই বলুন, শনিবারই উত্তর ২৪ পরগনা জেলা থেকে নির্বাচিত কংগ্রেস ও বাম বিধায়কদের যৌথ সংবর্ধনা দিয়েছে সিপিএমের নিউ ব্যারাকপুর-বিশরপাড়া জোনাল কমিটি। দলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সবুজ সঙ্কেত পেয়েই ওই সংবর্ধনার আয়োজন করেছিলেন স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব। এ বার সেই সমর্থনেই প্রয়াত নেতা সুভাষ চক্রবর্তীর স্মরণ অনুষ্ঠানেও থাকছে একজোট হয়ে লড়াইয়ের মঞ্চ। আগামী ৩ অগস্ট সুভাষবাবুর মৃত্যুদিনে স্মরণ-অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা বিরোধী দলনেতা, কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান। আর সিপিএমের তরফে মুখ্য উপস্থিতি থাকবে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক গৌতম দেবের। ‘সন্ত্রাস ঘরে-বাইরে, মুখোমুখি মানুষের জোট’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান বক্তা হিসেবে আমন্ত্রিত মান্নান।
তার আগে আজ, সোমবার মৌলালি যুবকেন্দ্রে পিডিএসের প্রয়াত রাজ্য সভাপতি সৈফুদ্দিন চৌধুরীর জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনাসভা থেকেও ধর্মনিরপেক্ষ সব শক্তিকে একজোট হওয়ার আহ্বান জানানো হতে চলেছে। পিডিএস নেতৃত্ব এই অনুষ্ঠানে অন্য দল থেকে কাউকে ডাকেননি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক সব শক্তিকে প্রয়োজনে ঝান্ডা ছেড়ে একজোট হয়ে আন্দোলনে নামতে হবে, এই প্রস্তাব দিয়ে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুকে চিঠি দিয়েছেন পিডিএসের রাজ্য সম্পাদক সমীর পূততুণ্ড। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের কথায়, ‘‘এখন নির্বাচনী সমঝোতার ব্যাপার নেই। রাজ্যের বাস্তব পরিস্থিতি যা, সেটা বুঝেই এগোনোর কথা অনেকেই বলছেন।’’ জেলায় জেলায় তাই যৌথ মঞ্চ গড়ে তোলার ছাড়পত্র দিয়ে রেখেছে আলিমুদ্দিন।