ধর্মতলার যে জায়গায় তৃণমূল রাজনৈতিক সমাবেশ করতে পারে, সেখানে বিজেপি-কে কেন সভা করতে দেওয়া হবে না, মঙ্গলবার সেই প্রশ্ন উঠল কলকাতা হাইকোর্টে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এ দিন কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে ২০ নভেম্বর বিজেপির প্রতিনিধির সঙ্গে সভাস্থল নিয়ে বৈঠকের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে বিচারপতির নির্দেশ ওই বৈঠকের পরে সভা করার ব্যাপারে তাঁর সিদ্ধান্ত ২১ নভেম্বর বিজেপি-কে লিখিত ভাবে জানিয়ে দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে তৃণমূলের ‘শহিদ দিবস’ ২১ জুলাইয়ের সভা হয়ে থাকে। কিন্তু আগামী ৩০ নভেম্বর সেখানেই দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সভা করতে চেয়ে পুলিশের অনুমতি পাচ্ছে না বিজেপি। পুলিশের যুক্তি, বাম জমানা থেকে ওই জায়গায় তৃণমূলের সভা হয়ে আসছে। তাই তাদের সভা করতে দেওয়া হয়। কিন্তু অন্য কোনও দলকে ওই জায়গায় সভা করতে দেওয়া হবে না। এই বৈষম্যের প্রতিকার চাইতেই হাইকোর্টে মামলা করেছে বিজেপি। একই বিষয়ে পুলিশের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়ে বামেরা আগেই হাইকোর্টে মামলা করেছে। তা এখনও বিচারাধীন।
বিজেপি-র আইনজীবী কৌশিক চন্দ আদালতে জানান, ৩০ নভেম্বর ধর্মতলায় সভা করতে চেয়ে দলের পক্ষ থেকে তিন বার লালবাজারে চিঠি পাঠানো হয়। তা সত্ত্বেও পুলিশের অনুমতি মেলেনি। তা শুনে বিচারপতি রাজ্যের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল অশোক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চান, কেন ওই সভা করতে দেওয়া হবে না। অশোকবাবু আদালতে জানান, পুলিশ কমিশনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বিজেপির প্রতিনিধির সঙ্গে তিনি এ নিয়ে আলোচনা করবেন। তা শুনে বিচারপতি ওই নির্দেশ দেন।
বিজেপির আইনজীবী জানান, বিচারপতি এ দিন মামলার নিষ্পত্তি করে দিয়ে জানিয়েছেন, সভা করার ব্যাপারে পুলিশ কমিশনারের সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য না হলে ফের আদালতের দ্বারস্থ হওয়া যাবে।
লালবাজারের এক পুলিশ কর্তা এ দিন দাবি করেন, বিজেপির পক্ষ থেকে লালবাজারে ফ্যাক্স পাঠিয়ে সভা করার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু যে পদ্ধতিতে রাস্তায় সভা করার অনুমতি চাওয়া হয়, তা করা হয়নি।