প্রতীকী ছবি।
দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন হুলস্থূল কাণ্ড! বাতিল করে দেওয়া হল বেশ কয়েকটি বিমান, অনেক বিমানকে আবার অনেক বেশি উঁচুতে ওড়ার নির্দেশ দেওয়া হল, সময়ের এক ঘণ্টা আগেই খুলে গেল শেয়ার মার্কেট, কেনাকাটির বড় বাজারগুলোও খুলে দেওয়া হল সময়ের আগে, রাস্তার ট্রাফিক সামলাতে পুলিশ-প্রশাসনও এখন ভীষণ ব্যস্ত। কিন্তু হঠাৎ এই আয়োজন কেন? সৌজন্যে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি পরীক্ষা। পরীক্ষা দিতে যাতে ছাত্র-ছাত্রীদের কোনওরকম অসুবিধা না হয়, তার জন্যই এই ‘রাজকীয়’ ব্যবস্থা দক্ষিণ কোরিয়ার।
দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় স্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশিকা পরীক্ষা এটি। প্রতি বছর প্রচুর পড়ুয়া এই পরীক্ষা দেন। টানা ৯ ঘণ্টা ধরে পরীক্ষাটি হয়। এ বছর ৫ লক্ষ ৯৫ হাজার পড়ুয়া এই পরীক্ষায় বসেছেন। পরীক্ষা চলাকালীন এবং পরীক্ষা শুরুর আগে পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনওরকম অসুবিধায় পড়তে না হয়, তার জন্য আগাম সবরকম ব্যবস্থা করে থাকে প্রশাসন।
সূত্রে খবর, দক্ষিণ কোরিয়ায় সকাল ৮টা ৪০ মিনিট নাগাদ দেশ জুড়ে এই পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তার অন্তত এক ঘণ্টা আগে শেয়ার মার্কেট খুলে দেওয়া হয়। পরীক্ষার্থীদের যাতে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনোর সময় ট্রাফিক জ্যামে পড়তে না হয় তাই এই ব্যবস্থা। যদি কোনও পরীক্ষার্থী ট্রাফিক জ্যামে ফেঁসে যান, তাহলে তাঁকে পুলিশ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেবে। এগুলো তো রয়েছেই, এর সঙ্গে বিমানের ওঠানামার সময়েরও বিপুল পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিমানের ওঠানামার শব্দে পরীক্ষায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে তাই ইংরাজি লিসনিং টেস্টের সময় অন্তত ২৫ মিনিটের জন্য ১৩৪ বিমানের ওঠানামা স্থগিত রাখা হয়। ওই সময় দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমায় যে সমস্ত বিমান থাকবে তাদের প্রত্যেকেরই উচ্চতা অন্তত ১০,০০০ ফুট রাখার নির্দেশও দেওয়া হয় এটিসির তরফ থেকে।
আরও পড়ুন: চিন-রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে হেরে যেতে পারে আমেরিকা! আশঙ্কা মার্কিন কংগ্রেসেরই