Rohingya

মাঝসমুদ্রে নিখোঁজ রোহিঙ্গাদের নৌকা, অন্তত ১৮০ জন শরণার্থীর মৃত্যুর আশঙ্কা

রাষ্ট্রপুঞ্জের উদ্বাস্তুদের জন্য হাই কমিশনার জানিয়েছেন, নভেম্বরের শেষ দিকে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে রওনা হয়েছিল একটি নৌকা। ডিসেম্বরের শুরুতেই সেই নৌকায় ফাটল দেখা যায়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ ২১:০০
Share:

রাষ্ট্রপুঞ্জের উদ্বাস্তু সংস্থার আশঙ্কা, সলিলসমাধি হয়েছে শরণার্থীদের নৌকার। সওয়ার ১৮০ জনই হয়তো মারা গিয়েছেন। — ফাইল ছবি।

নৌকায় চেপে বাংলাদেশের শরণার্থী শিবির থেকে পালাচ্ছিলেন অন্তত ১৮০ জন রোহিঙ্গা। রাষ্ট্রপুঞ্জের উদ্বাস্তু সংস্থার আশঙ্কা, সলিলসমাধি হয়েছে সেই নৌকার। সওয়ার ১৮০ জনই হয়তো মারা গিয়েছেন।

Advertisement

মায়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন অন্তত ১০ লক্ষ রোহিঙ্গা। মায়ানমারে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। সে কারণে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের উপর চড়াও হয় সে দেশের সেনা। চলে নিগ্রহ, অত্যাচার। তাই ২০১৭ সাল থেকে মায়ানমার ছেড়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিচ্ছিলেন রোহিঙ্গারা।

রাষ্ট্রপুঞ্জের উদ্বাস্তুদের জন্য হাই কমিশনার জানিয়েছেন, নভেম্বরের শেষ দিকে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে রওনা হয়েছিল একটি নৌকা। ডিসেম্বরের শুরুতেই সেই নৌকায় ফাটল দেখা যায়। তার পর সেটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। আর খোঁজ মেলেনি নৌকাটির। মনে করা হচ্ছে, সওয়ার ১৮০ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের উদ্বাস্তুদের জন্য হাই কমিশনারের মুখপাত্র বাবর বালোচের আশা, কিছু যাত্রী হয়তো কোথাও না কোথাও বেঁচে রয়েছেন।

Advertisement

২০১৩ সালে মায়ানমার থেকে পালানোর সময় আন্দামান এবং বঙ্গোপসাগরে ডুবে মারা গিয়েছেন অন্তত ৯০০ জন শরণার্থী। ২০১৪ সালে ৭০০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী নিখোঁজ। ২০২০ সালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্র পারাপার করার চেষ্টা করেছিলেন ২,৪০০ রোহিঙ্গা শরণার্থী। তাঁদের মধ্যে ২০০ জনের আর কোনও খোঁজ মেলেনি। মায়ানামারে রোহিঙ্গাদের অধিকার রক্ষার কাজ করেন এমন একটি সংগঠনের দাবি, ডিসেম্বরের শুরুতে মালয়শিয়ার কাছে রোহিঙ্গাদের একটি নৌকা আটকে ছিল প্রায় দু’সপ্তাহ। ভারতীয় উপকূলের দিকে আসছিল সেটি। সেই নৌকায় ছিলেন ১০০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী। অনাহার, তৃষ্ণায় মারা গিয়েছিলেন ২০ জন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন