pakistan

Pakistan: পাকিস্তানে হিন্দু মন্দির ভাঙার ঘটনায় দোষী ২২ জনের পাঁচ বছরের জেলের সাজা

গত বছর পাক পঞ্জাব প্রদেশের রহিম ইয়ার খান জেলায় ওই প্রাচীন গণেশ মন্দিরে হামলার ঘটনার পরেই সক্রিয় হয়েছিল পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লাহৌর শেষ আপডেট: ১২ মে ২০২২ ১০:৫১
Share:

পাকিস্তানে মন্দিরে হামলা হয়েছিল এ ভাবেই। ফাইল চিত্র।

পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে একটি হিন্দু মন্দির ভাঙার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ২২ জনের পাঁচ বছর করে জেলের সাজা হল। বুধবার সে দেশের বিশেষ সন্ত্রাসদমন আদালত এই রায় ঘোষণার পরে সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীদের পাঠানো হয় বহাবলপুর সেন্ট্রাল জেলে।

গত বছরের জুলাই মাসে পাক পঞ্জাবের রাজধানী লাহৌর থেকে ৫৯০ কিলোমিটার দূরে রহিম ইয়ার খান জেলার ভোঙের গণেশ মন্দির দুষ্কৃতীদের হামলার শিকার হয়েছিল। এক হিন্দু কিশোরের বিরুদ্ধে ইসলাম অবমাননার অভিযোগ তুলে মন্দিরে হামলা চালানো হয়। কয়েকশো উন্মত্ত মানুষ ভাঙচুরের পাশাপাশি মন্দিরের একাংশে আগুন লাগিয়ে দেয়।

Advertisement

মন্দিরে হামলার ঘটনার পরেই সক্রিয় হয়েছিল পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিষয়টি নিয়ে মামলা করে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকারের। সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয় সে দেশের শীর্ষ আদালত। বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তান সরকারের কাছে কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় ভারতও।

চাপের মুখে দ্রুত সক্রিয় হয় পাকিস্তান সরকার। গোটা ঘটনার নিন্দা করে ইমরান আশ্বাস দেন, দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে। হামলার ভিডিয়ো দেখে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হয় ৯০ জনকে। মোট ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। হিন্দু মন্দির ধ্বংসের প্রতিবাদে পাক পার্লামেন্টে পাশ হয় নিন্দা প্রস্তাব। মাস খানেকের মধ্যেই মন্দিরটি সংস্কার করে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেয় পাক সরকার।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন