কাসকাইস শহরের উপকূলে মিলেছে ধ্বংসাবশেষ। ছবি: রয়টার্স।
পর্তুগালের উপকূলে সমুদ্রের তলায় মিলল চারশো বছরের পুরনো একটি জাহাজের ধ্বংসাবশেষ। জাহাজটিতে পাওয়া গিয়েছে মশলা-সহ ভারতের বিভিন্ন দ্রব্যাদি। ভারত থেকে সামগ্রী নিয়ে পর্তুগাল যাওয়ার পথেই জাহাজডুবি হয়েছিল বলে অনুমান প্রত্নতত্ত্ববিদদের।
প্রত্নতত্ত্ববিদদের একাংশ এই জাহাজ খুঁজে পাওয়ার ঘটনাটিকেগত এক দশকের সেরা আবিষ্কার বলেই মনে করছেন। কারণ, এই জাহাজটিতে অনুসন্ধান চালালে ভারত ও ইউরোপের মধ্যে প্রাচীন ‘স্পাইস রুট’ বা ‘মশলা পথ’-এর অনেক অজানা তথ্য ঐতিহাসিকদের সামনে আসবে।
পর্তুগালের রাজধানী লিসবন থেকে পনেরো মাইল পশ্চিমে কাসকাইস শহরের উপকূলে সমুদ্রের গভীরে এই জাহাজটির অস্তিত্ব এই মাসের শুরুতেই খুঁজে পান পর্তুগিজ ডুবুরিরা। যদিও বিস্তারিত তথ্য ও ছবি সোমবারই সামনে এনেছে পর্তুগাল সরকার। দেখা যাচ্ছে, জাহাজটি প্রায় ১০০ মিটার লম্বা ও ৫০ মিটার চওড়া। প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর এই জাহাজটিযে বাণিজ্যতরী, তা নিয়ে নিশ্চিত প্রত্নতত্ত্ববিদেরা। কারণ ধ্বংসাবশেষের মধ্যে মিলেছে চিনা পোর্সেলিনের সামগ্রী, ভারতীয় মশলা এবং ন’টি ব্রোঞ্জের তৈরি কামান। কামানের গায়ে পাওয়া গিয়েছে পর্তুগিজ অস্ত্রের প্রতীকও।
সমুদ্রের গভীরে পাওয়া গেল পর্তুগিজ কামান। ছবি: রয়টার্স।
তবে রহস্য দানা বাঁধছে ধ্বংসাবশেষের মধ্যে কড়ি মেলায়। কারণ, ৪০০ বছর আগে কড়ি ব্যবহার করা হতো দাস ব্যবসায়। তাহলে কি আফ্রিকার মতো ভারতেওপর্তুগিজরা সক্রিয় ছিল দাস কেনাবেচার ব্যবসায়?সেই সন্দেহ উড়িয়ে দিচ্ছেন না ঐতিহাসিকেরা। এ নিয়ে আরও বিশদে অনুসন্ধান চালানোর কথা জানিয়েছে পর্তুগালের সংস্কৃতি মন্ত্রক।
এই পথেই ভারত থেকে মশলা পৌঁছে যেত ইউরোপ।
জাহাজটির নাম বা পরিচয় এখনও জানা যায়নি। যদিও বিভিন্ন প্রতীক দেখে ষোড়শ শতাব্দীর শেষ অথবা সপ্তদশ শতকের শুরুতেই এই বাণিজ্যপোতটি ডুবে গিয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ
আন্তর্জাতিক স্তরের বাছাই করা ঘটনাগুলো নিয়ে বাংলায় খবর জানতে পড়ুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগ।