উদ্ধার: কেব্ল কারে আটকে পড়া আরোহীদের নামিয়ে আনা হচ্ছে। জার্মানির কোলনে। ছবি: রয়টার্স।
মাঝ আকাশে হঠাৎ ঝাঁকুনি খেয়ে আটকে গিয়েছিল কেব্ল কারগুলি। রাইন নদীর উপর দিয়ে কেবল কার যাতায়াতের লাইনে থাকা একটি স্তম্ভের সঙ্গে ধাক্কা খেয়েই ঘটে এই বিপত্তি। ৪০ মিটার উপরে তখন বিপজ্জনক ভাবে ঝুলছেন কুড়িটি শিশু-সহ ৭৫ জন আরোহী। যে কোনও সময় ঘটে যেতে পারত বড়সড় কোনও বিপদ! তবে তার আগেই পৌঁছে যায় উদ্ধারকারী দল। প্রায় সিনেমার মতো বাচ্চাদের বুকে আঁকড়ে দড়ি ধরে ঝুলে নেমে আসেন আরোহীরা। রবিবার দুপুরে জার্মানির কোলন শহরের ঘটনা।
উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ এই দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ক্রেনের সাহায্যে আটকে থাকা আরোহীদের কাছে পৌঁছন তাঁরা। দুর্ঘটনার কারণ এখনও জানা সম্ভব না হলেও প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে জোরালো হাওয়ার ফলেই স্তম্ভে ধাক্কা মারে কেব্ল কারের একটি কামরা। সেই সময় ওই লাইন দিয়ে ৩২ টি কেবল কার চলছিল। একটি কামরা ধাক্কা লাগায় সঙ্গে সঙ্গে থেমে যায় বাকিগুলো। দুর্ঘটনার জেরে প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়
ওই লাইনটি।
উদ্ধারকাজে যুক্ত ছিল অন্তত একশো জন। তাঁদের চেষ্টায় পাঁচ ঘণ্টার মধ্যেই নামিয়ে আনা সম্ভব হয় সব আরোহীদের। উদ্ধারের সময় সামান্য জখম হন এক ব্যক্তি ও এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা। বাকিরা নেমে আসেন নিরাপদেই। প্রথম উদ্ধার করা হয় মার্টিনা ও হান্স পিটার রিগার নামে এক দম্পতিকে। কেব্ল কারে চড়ে ৪১তম বিবাহবার্ষিকী পালন করছিলেন তাঁরা। পিটারের কথায়, ‘‘আমাদের শান্ত রাখতে উদ্ধারকারী বাহিনী নানাভাবে আশ্বস্ত করতে থাকে। এই ঘটনা সারাজীবন মনে থেকে যাবে।’’
ঘটনাচক্রে, কেব্ল কার আটকে গেলে মাঝ আকাশ থেকে কীভাবে আরোহীদের নামিয়ে আনা হবে তা নিয়ে এক সপ্তাহ আগেই মহড়া চালিয়েছিল কোলনের একটি উদ্ধারকারী দল। তবে দমকল জানিয়েছে, এই ধরনের কোনও ঘটনা শহরে আগে ঘটেছে বলে মনে করতে পারছে না তারা।