International news

নিষিদ্ধ ড্রাগ খাইয়ে যৌন নির্যাতনের পর মেয়েকে খুন করলেন মা!

জন্মদিনের পার্টি নিয়ে আগের দিন থেকেই মেতে ছিল ১০ বছরের ভিক্টোরিয়া মার্টিনস। মা তাকে বলেছিল এ বারের জন্মদিনটা বেশ ঘটা করেই হবে। নিজেকে সাজাতে এ দিন নতুন জামা পরে প্রতিবেশী দিদির কাছ থেকে লিপস্টিকও এনেছিল ভিক্টোরিয়া।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০১৬ ১৯:০৩
Share:

ভিক্টোরিয়া মার্টিন। ছবি: ফেসবুক।

জন্মদিনের পার্টি নিয়ে আগের দিন থেকেই মেতে ছিল ১০ বছরের ভিক্টোরিয়া মার্টিনস। মা তাকে বলেছিল এ বারের জন্মদিনটা বেশ ঘটা করেই হবে। নিজেকে সাজাতে এ দিন নতুন জামা পরে প্রতিবেশী দিদির কাছ থেকে লিপস্টিকও এনেছিল ভিক্টোরিয়া।

Advertisement

হায়! শিশুটির জানা ছিল না, পার্টির অছিলায় মা-ই তাকে খুনের পরিকল্পনা করেছেন। পার্টি শুরু হওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই নিষিদ্ধ ড্রাগ খাইয়ে প্রেমিককে দিয়ে যৌন নির্যাতনের পর ভারী অস্ত্রের আঘাতে ১০ বছরের মেয়েকে খুন করালেন মা! অভিযোগ, এই খুনে সাহায্য করেছেন প্রেমিকের এক আত্মীয়ও।

বুধবার এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ওয়াশিংটনে। খুনের অভিযোগে মা মিশেল মার্টিন, প্রেমিক ফেবিয়ান আর তাঁর আত্মীয় জেসিকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে কেন নিজের শিশুকন্যাকে খুন করালেন মা, তা এখনও পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয়।

Advertisement

ঠিক কী ঘটেছিল?

পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ পাশের বাড়িতে কিছু ঝামেলা হচ্ছে আঁচ করে প্রতিবেশী এক মহিলা ওয়াশিংটন পুলিশকে ফোন করেন। তড়িঘড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বাড়িতে পুলিশকে ঢুকতে দেখেই প্রথমে হতভম্ব হয়ে যান মা মিশেল মার্টিন। তিনি তখন দোতলা বাড়ির নীচের তলায় ছিলেন। মিশেল পুলিশকে জানান, ওপরের ঘরে কেউ তাঁর মেয়েকে খুন করে ফেলে রেখে গিয়েছে। ওপরে উঠে পুলিশ দেখে, রক্তাক্ত জামা গায়ে ফেবিয়ান ঘরের মধ্যেই ইতস্তত ঘোরাফেরা করছেন। কী হয়েছে, জানতে চাওয়ায়, ফেবিয়ান পুলিশকে জানান, শিশুটির গা থেকে রক্ত পরিষ্কার করছিলেন তিনি। সেই রক্তই নাকি তাঁর জামায় লেগেছে। কে এই শিশুটিকে খুন করেছে, তা তাঁর জানা নেই। ঘটনার সময় নাকি তিনি সেখানে ছিলেন না। আর যে ঘরে খুন হয়ে মাটিতে পড়েছিল ভিক্টোরিয়া, সেখানে সেই মুহূর্তে পুলিশ দেখে, রয়েছেন ফেবিয়ানের আত্মীয় জেসিকা। পুলিশকে দেখেই তিনি দরজা বন্ধ করে ব্যালকনি দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, ১০ বছরের ভিক্টোরিয়ার রক্তাক্ত মৃতদেহ বাড়ির দোতলার একটি ঘরের শৌচাগারের মেঝেয় পড়েছিল। ওই দিন প্রথমে শিশুটিকে জোরজবরদস্তি নিষিদ্ধ মেথামফেটামাইন ড্রাগ খাওয়ানো হয়। তার পর মায়ের প্রেমিক ফেবিয়ান শিশুটির উপর যৌন নির্যাতন চালান। এর পর ভারী কিছুর আঘাতে খুন করা হয় মেয়েটিকে।

আরও পড়ুন: চেক প্রজাতন্ত্রে জার্মান চ্যান্সেলরকে হত্যার চেষ্টা, জোর বাঁচলেন মের্কেল

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন