মন্ত্রে আসতে পারে ভূত! স্কুলে ‘নিষিদ্ধ’ হ্যারি পটার

অন্ধকার জমে-জমেই ভূত হয়! লিখেছিলেন রস-স্রষ্টা ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়। ভূতের ভয়ে রাম নাম করার রীতিও বাঙালির চেনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:৩৮
Share:

হ্যারি পটারের বই

সাবধান! এমন বই পড়লে সত্যি ভূতেরা নেমে আসতে পারে। এমনই আশঙ্কার বশে খাঁড়া নেমে এল স্বয়ং হ্যারি পটারের উপরে। আমেরিকার ন্যাশভিলে একটি স্কুলে ভূতের ভয়েই হ্যারি পটারের বই কার্যত ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষণা করা হয়েছে।

Advertisement

অন্ধকার জমে-জমেই ভূত হয়! লিখেছিলেন রস-স্রষ্টা ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়। ভূতের ভয়ে রাম নাম করার রীতিও বাঙালির চেনা। হনুমান চালিসা-তেও বলা আছে, ‘ভূত পিশাচ নিকট নাহি আওবে মহাবীর নাম জব সুনাওবে’। তবে বই পড়ে ভূত আবাহনের তত্ত্ব আমবাঙালির অজানা। সংবাদ সংস্থার খবরে প্রকাশ, ন্যাশভিলের ক্যাথলিক স্কুলের ধর্মযাজক রেভারেন্ড ড্যান রিহিলের কিন্তু আশঙ্কা, হ্যারি পটার পড়ার সময়ে প্রমাদ ঘটতে পারে। রোমের ভূতবিশারদ বা ওঝাদের সঙ্গে কথা বলেই এ বিষয়ে জেনেছেন বলে দাবি তাঁর। রিহিলের মতে, পটার-কাহিনির কল্পজগতে ডুব দেওয়ার সময়ে পাঠকের অজান্তে ভূতেরা সটান সেখানে হাজিরও হতে পারে।

প্রেততত্ত্ব, আত্মা, জন্মান্তর ইত্যাদি বিষয়ে উৎসাহী লোকের অভাব নেই একুশ শতকীয় কলকাতাতেও। কিন্তু তাঁদের তেমন সায় নেই আমেরিকান ধর্মযাজকের মেলে ধরা তত্ত্বে। ভূত-শিকারি বা অতিলৌকিক গোয়েন্দা বলে পরিচিত অভিজিৎ সরকারের ভূত শব্দটিতেই আপত্তি! ‘‘ভূত তো নয়! এক ধরনের এনার্জি। তাঁর উপস্থিতি কখনও সমস্যার সৃষ্টি করে। বুঝিয়ে-সুঝিয়ে তাঁকে সরানোর কাজ আমরা করে থাকি।’’ তবে অভিজিৎবাবুর মতে, ‘‘ভূতকে ডেকে আনার কসরত অত সোজা নয়। একমাত্র ‘ইলিউমিন্যাটি’ বলে কোনও গোষ্ঠী তা পারেন। কেউ কোনও গল্পের বই পড়তে পড়তে ভূতকে ডেকে নিয়ে চলে আসবেন তা কখনওই হয় না।’’ কলকাতার ভূত বিশেষজ্ঞদের মতে, হ্যারি পটার-পাঠে অত এব বিপদ নেই।

Advertisement

বাংলা সাহিত্যে অজস্র উপকারী বা মজাদার ভূতের স্রষ্টা শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় পটার-কাহিনির বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনে খুব হাসছেন। রিহিল বলেছেন, ‘‘জে কে রাউলিংয়ের বইয়ে সত্যি-সত্যি ভূত নামানোর তুকতাক রয়েছে।’’ শীর্ষেন্দুবাবুর মতে, ‘‘ভূত বিষয়ে আমার ব্যক্তিগত যা ধারণা, তা আমি ছোটদের বইয়ে লিখি না। হ্যারি পটারের গল্পের কল্পজগত সত্যি না মিথ্যে, তা-ও বলতে পারব না। তবে এখনও পর্যন্ত আমার গল্পের ভূতেদের কেউ কাঠগড়ায় দাঁড় করাননি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন