বন্দুক হামলার আতঙ্ক, বন্ধুকে হারিয়ে আত্মঘাতী

গুলির আওয়াজ, সহপাঠীদের আর্তনাদ, বন্ধুর রক্তাক্ত দেহ...। এক বছর ধরে তাড়া করে বেড়াচ্ছিল আতঙ্ক। গত সপ্তাহে নিজের মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হলেন ফ্লরিডার পার্কল্যান্ড স্কুলের প্রাক্তন পড়ুয়া, ১৯ বছরের সিডনি আইয়েলো।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৯ ০২:২৪
Share:

গুলির আওয়াজ, সহপাঠীদের আর্তনাদ, বন্ধুর রক্তাক্ত দেহ...। এক বছর ধরে তাড়া করে বেড়াচ্ছিল আতঙ্ক। গত সপ্তাহে নিজের মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হলেন ফ্লরিডার পার্কল্যান্ড স্কুলের প্রাক্তন পড়ুয়া, ১৯ বছরের সিডনি আইয়েলো।

Advertisement

গত বছর পার্কল্যান্ডের ওই স্কুলে বন্দুকবাজের হামলায় ১৭ জন পড়ুয়া মারা যায়। তার মধ্যে ছিল সিডনির প্রিয় বান্ধবী মিডো পোলক-ও। ঘটনার দিন স্কুলেই ছিলেন সিনিয়র ইয়ারের ছাত্রী সিডনি। কিন্তু স্কুলের যে ভবনে গুলি চলেছিল, সেখানে ছিলেন না। তাই বেঁচে যান। তবে বন্ধুর মৃত্যুর শোক নিজের বেঁচে ফেরাকে ছাপিয়ে গিয়েছিল। সেই সঙ্গে তাড়া করত সে দিনের আতঙ্ক। সিডনির মা কেরা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার’-এ ভুগছিল মেয়ে। ক্লাসে ঢুকতে ভয় পেতেন সিডনি। তাই কলেজে ভর্তি হলেও ক্লাস ঠিকমতো করতে পারছিলেন না। যে মেয়েটা স্কুলে চিয়ারলিডার ছিলেন, যোগব্যায়াম করতেন, ইদানীং তিনি মাঝেমধ্যেই মন খারাপ করে বসে থাকতেন।

মিডোর দাদা হান্টার পোলক টুইটারে লিখেছেন, ‘‘আর একটা ঝলমলে সুন্দর মেয়েকে সমাহিত করতে অসম্ভব কষ্ট হচ্ছে। আবার খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে পার্কল্যান্ড।’’ সিডনির ফেসবুক পেজ ভরে গিয়েছে বন্ধুদের নানা আবেগঘন স্মৃতিতে। অস্ত্র-নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক অনুষ্ঠানে যোগ দিতেন তরুণী। সেই ছবিও তাঁর পেজে দিয়েছেন অনেকে।

Advertisement

নিজের মাথায় গুলি চালান সিডনি। সঙ্গে সঙ্গেই মারা যান। মেয়ের বন্ধুর মৃত্যুতে মিডোর বাবা অ্যান্ড্রু পোলক বলেন, ‘‘ভয়ানক ঘটনা। আত্মহত্যা করে কাউকে কোনও জবাব দেওয়া যায় না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement