ইজ়রায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত ১৬ হাজার ২৭৮ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। —ফাইল চিত্র।
স্বাধীনতাপন্থী সশস্ত্র প্যালেস্টাইনি সংগঠন হামাসকে নির্মূল করা এখনও সম্ভব হয়নি। কিন্তু ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নির্দেশে নতুন করে সেনা অভিযান শুরুর পরে গাজ়ায় প্রতি ৪০ মিনিটে এক জন করে শিশুর মৃত্যু হচ্ছে! গাজ়ার স্বশাসিত কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে।
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে নাসের মেডিক্যাল কমপ্লেক্সে সংবাদিক বৈঠকে গাজ়া স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক মারওয়ান আল-হামস জানান, ইজ়রায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত ১৬ হাজার ২৭৮ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৯০৮ জন কোলের শিশু এবং ৩১১ জন সদ্যোজাত! প্রসঙ্গত, যুদ্ধবিরতি ভেঙে মার্চের গোড়ায় ইজ়রায়েলি ফৌজ গাজ়ায় হামাস বিরোধী অভিযান শুরু করেছিল। প্যালেস্টাইনি শরণার্থী বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপুঞ্জের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-র এপ্রিলের গোড়ায় একটি রিপোর্টে জানিয়েছিল, গত ১৮ মার্চ থেকে প্রতি দিন অবরুদ্ধ গাজ়ায় অন্তত ১০০ প্যালেস্টাইনি শিশু হতাহত হচ্ছে।
গত ২ মার্চ থেকে গাজ়ায় কোনও মানবিক সহায়তা এবং ত্রাণ প্রবেশ করতে দিচ্ছে না তেল আভিভ ফলে ভয়াবহ খাদ্য এবং পানীয়ের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পরেই গাজ়ায় হানা দিয়েছিল ইজ়রায়েলি সেনা। প্রথমে বন্দুকের নলের সামনে রেখে উত্তর গাজ়া ফাঁকা করানো হয়। এর পরে স্থল অভিযানে মধ্য ভূখণ্ডও গ্রাস করেছে তারা। ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, ধূলিসাৎ করেছে। তার পর টানা হামলা চলেছে দক্ষিণে, খান ইউনিস এবং রাফায়। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার প্যালেস্টাইনির। এ বার ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা গত রবিবার গাজ় ভুখণ্ড পুরোপরি দখলের জন্য পুরদস্তর সামরিক অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তা কার্যকর হলে আরও বহু মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে।