করাচি বন্দরে তুরস্কের যুদ্ধজাহাজকে স্বাগত জানাচ্ছে পাকিস্তানের নৌসেনা। ছবি: সংগৃহীত।
পহেলগাঁও কাণ্ডের পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক তলানিতে নেমেছে। পুরোদস্তুর যুদ্ধ শুরু না-হলেও দুই দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে প্রায়ই তাল ঠুকছে। এই পরিস্থিতিতে রবিবার করাচি বন্দরে ভিড়েছে তুরস্কের যুদ্ধজাহাজ টিসিজি বাইকাদা। আগামী বুধবার পর্যন্ত সেটি করাচিতেই থাকবে। অন্য দিকে, কয়েক দিন আগে ইসলামাবাদে অবতরণ করে তুরস্কের যুদ্ধবিমান সি-১৩০।
একটি অসমর্থিত সূত্রে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের বিভিন্ন বিমানঘাঁটিতে বর্তমানে ছ’টি সি-১৩০ যুদ্ধবিমান রয়েছে। পাকিস্তানের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের দাবি, সেগুলিতে অস্ত্র রয়েছে। যদিও তুরস্ক এই দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছে। বরং সে দেশের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইপ এর্ডোয়ানের জনসংযোগ দফতরের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, তেল ভরার জন্যই নেমেছিল বিমানটি।
রবিবার করাচি বন্দরে তুরস্কের যুদ্ধজাহাজকে স্বাগত জানায় পাকিস্তানের নৌবাহিনী। ইসলামাবাদ জানিয়েছে, সুসম্পর্কের খাতিরেই তুরস্ক পাকিস্তানে যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে। আঙ্কারা অবশ্য জানিয়েছে, এটি রুটিন কাজ। এর অন্য কোনও তাৎপর্য নেই বলে জানানো হয়েছে। ঘটনাচক্রে, তুরস্ক সরকার পহেলগাঁও সন্ত্রাসের পরেই নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ উত্তেজনা প্রশমনের বার্তা দিয়েছে দু’পক্ষকে। প্রেসিডেন্ট এর্ডোয়ান বলেন, ‘‘পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নেওয়ার আগেই তুরস্ক দ্রুত পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে উত্তেজনার অবসান চায়।’’
(এই প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশের সময় ছবির ক্যাপশনে যুদ্ধজাহাজের পরিবর্তে যুদ্ধবিমান লেখা হয়েছিল। এই অনবধানবশত ত্রুটির জন্য আমরা দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী)