ছবি ইউটিউবের সৌজন্যে।
বুকের দিকে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে দাঁড়িয়ে রয়েছে দুষ্কৃতী। ট্রিগার টিপলে মৃত্যু নিশ্চিত। তাও ভাবলেশহীন ক্যাশিয়ার। কোনও রকম ভয়ের ছাপ নেই মুখে। খুব শান্ত ভাবে ক্যাশবাক্সটাই দুষ্কৃতীর হাতে তুলে দিলেন। দৃশ্যটা ঠিক এমন, দুষ্কৃতী এল, টাকা নিল এবং চলে গেল।
সম্প্রতি কানসাসের জিমি জনস রেস্তোরাঁয় ডাকাতির ঘটনার এই সিসিটিভি ফুটেজটিই ইউটিউবে পোস্ট করেছে পুলিশ। এরকম একটা পরিস্থিতিতে এই ভাবে প্রতিক্রিয়াহীন হওয়ার নজির নেই বললেই চলে। ইউটিউবে পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গেই তা ভাইরাল। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই লক্ষাধিক ইউটিউব ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছে গিয়েছে ভিডিওটি। দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: কুপ্রস্তাবে সাড়া মেলেনি, বধূর ছবি দিয়ে পর্ন ভিডিও ছড়াল দুই প্রতিবেশী!
ঘটনাটি অবশ্য কয়েক দিন আগের। আমেরিকার কানসাসের একটি রেস্তোরাঁয় তখন নিজের কাজে ব্যস্ত ক্যাশিয়ার। তখনই সাধারণ গ্রাহকের বেশে তাঁর সামনে এসে দাঁড়ায় ওই দুষ্কৃতী। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, যুবকের সঙ্গে বেশ কিছু ক্ষণ কথাও বলে ওই দুষ্কৃতী। আর তার পরই আচমকা পকেট থেকে একটি পিস্তল বের করে ক্যাশিয়ারের দিকে ধরে। সামনে পিস্তল দেখেও ঠিক আগের মতোই ভাবলেশহীন থাকেন ওই ক্যাশিয়ার। দুষ্কৃতীর কথামতো কাউন্টার থেকে টাকা বের করে দেন তাকে। এমনকী দুষ্কৃতী আরও টাকা চাইলে এরপর পুরো ক্যাশবাক্সটাই ধরে তাকে দিয়ে দেন। এও দেখা যায় যে, দুষ্কৃতীকে টাকা দেওয়ার সময় দস্তানাটাও খুলে রাখতে ভোলেননি তিনি। টাকা নিয়ে রেস্তোরাঁ থেকে বেরিয়ে যায় দুষ্কৃতী।
দেখুন ভিডিও:
ইউটিউভে পোস্ট করার পর ওই ভিডিওটিতে অবশ্য ডাকাতির দিকে অনেকেরও চোখ পড়েনি। ইউটিউব ব্যবহারকারীদের নজর ছিল ওই ক্যাশিয়ারের দিকেই। কেউ লেখেন, ‘‘অভিধানে নির্বিকার শব্দের পাশে এ বার থেকে এই ছবিও দেওয়া থাকবে।’’ কেউ আবার লেনদেনের সময় মনে করে দস্তানা খুলে রাখার জন্য তাঁকে ভাল কর্মী হিসেবে উল্লেখ করেন।