North Korea Warship

রণতরী উল্টে গেল উদ্বোধনের সময়! ক্ষিপ্ত কিমের নির্দেশে গ্রেফতার উত্তর কোরিয়ার যুদ্ধসরঞ্জাম দফতরের কর্তা

নতুন তৈরি করা রণতরীতে উদ্বোধনের সময়েই বিপত্তি! বন্দর থেকে সমুদ্রে নামানোর সময়েই উল্টে যায় উত্তর কোরিরায় যুদ্ধজাহাজ। এই ঘটনায় দেশে গৌরব নষ্ট হয়েছে বলে মনে করছেন উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২৫ ১৩:৪০
Share:

নতুন তৈরি হওয়ার রণতরী উদ্বোধনেই উল্টো যাওয়ায় ক্ষুব্ধ উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন। —ফাইল চিত্র।

নতুন রণতরী উদ্বোধনের সময়েই উল্টে গিয়েছে উত্তর কোরিয়ায়! এই দুর্ঘটনায় বিরক্ত উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উন। নতুন তৈরি হওয়া যুদ্ধজাহাজ সমুদ্রে নামানোর সময়েই এমন দুর্ঘটনাকে একটি ‘অপরাধ’ বলেই ব্যাখ্যা করছেন তিনি। উত্তর কোরিয়ার শাসকের বক্তব্য, সমরতরী উল্টে যাওয়ায় দেশের সম্মান এবং গৌরব মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই দুর্ঘটনার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে উত্তর কোরিয়ার যুদ্ধসরঞ্জাম দফতরের এক কর্তাকেও।

Advertisement

সম্প্রতি পাঁচ হাজার টনের একটি যুদ্ধজাহাজ তৈরি করে উত্তর কোরিয়া। সে দেশের চংজ়িন বন্দর থেকে গত সপ্তাহে রণতরীটি সমুদ্রে নামানোর কথা ছিল। কিন্তু বন্দর থেকে সমুদ্রে নামানোর সময়েই সেটি উল্টে যায়। ভেঙে যায় নতুর যুদ্ধজাহাজের কাঠামোর একটি অংশ। তাতেই ক্ষিপ্ত একনায়ক কিম! সোমবার উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা ‘কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ় এজেন্সি’ (কেসিএনএ) জানিয়েছে, ওই দুর্ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে যুদ্ধসরঞ্জাম দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর রি হং-সনকে। ওই গুরুতর দুর্ঘটনার জন্য মূলত হং-সনই দায়ী বলে দাবি করা হয়েছে উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থায়। উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম এর আগে বলেছিলেন, ওই দুর্ঘটনাটি সম্পূর্ণ অসাবধানতা, দায়িত্বজ্ঞানহীনতা এবং অবৈজ্ঞানিক ভাবে কাজ করার ফলেই ঘটেছে।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, রণতরী উল্টে যাওয়ার ঘটনায় এই নিয়ে মোট চার জনকে গ্রেফতার করল উত্তর কোরিয়া। এর আগে চংজ়িন বন্দরের তিন আধিকারিককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই বন্দরেই যুদ্ধজাহাজটি তৈরি হয়েছিল এবং এখান থেকেই সমুদ্রে নামাতে গিয়ে বিপত্তি ঘটে। তবে রণতরী বিপত্তিতে শীর্ষস্তরের কোনও সরকারি আধিকারিকের গ্রেফতারি এই প্রথম। উত্তর কোরিয়ার ‘সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশন’-এর অন্যতম সদস্য হং-সন। উত্তর কোরিয়ার সেনাকে যাবতীয় নির্দেশ দেয় এই কমিশন। সে দেশের সামরিক নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রেও এই কমিশনের ভূমিকা রয়েছে।

Advertisement

রণতরী বিপত্তিতে গ্রেফতার হওয়া চার জনের কী শাস্তি হতে পারে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এর আগে উত্তর কোরিয়ার কোনও অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়া আধিকারিকদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ারও ইতিহাস রয়েছে। উত্তর কোরিয়ার অভ্যন্তরে কী ঘটছে, সেই সংক্রান্ত তথ্য খুব নিয়ন্ত্রিত ভাবেই প্রকাশ্যে আসে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement