সেনা-টহল। শনিবার রাজধানী বামাকোতে। ছবি: রয়টার্স।
চাপ চাপ রক্ত। লিফটের দরজাটা ভাঙা। সামনেই পড়ে একটি মৃতদেহ। র্যাডিসন ব্লু হোটেলের ছবিটা আজ এ রকমই।
গত কালের জঙ্গি হামলার আতঙ্ক এখনও কাটেনি মালির। জারি হয়েছে দশ দিনের জরুরি অবস্থা। প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বুবাকা তিন দিনের জাতীয় শোকও ঘোষণা করেছেন।
শুক্রবার সকালে র্যাডিসন ব্লু হোটেলে হামলা চালায় কয়েক জন সশস্ত্র জঙ্গি। পণবন্দি করে অতিথি-কর্মী মিলিয়ে ১৭০ জনকে। পণবন্দিদের মধ্যে ছিলেন ২০ জন ভারতীয়ও। মালি পুলিশের সঙ্গে হাত
মিলিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জ, আমেরিকা ও ফ্রান্সের শান্তিরক্ষা পুলিশ বাহিনী বেশিরভাগ পণবন্দিকেই মুক্ত করে। তবে নিহত হন ২৭ জন পণবন্দি এবং দুই বন্দুকবাজ।
মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক অনীতা অশোক দাতার। মেরিল্যান্ডের টাকোমা পার্ক অ়ঞ্চলের বাসিন্দা তিনি। মারা গিয়েছেন চিনের উচ্চপদস্থ তিন সরকারি আধিকারিকও। এই নিয়ে আজ সুর চড়িয়েছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। তিনি আজ বলেছেন, ‘‘সন্ত্রাস রুখতে সব আন্তর্জাতিক শক্তির সঙ্গে আমরা হাত মেলাব। বিশ্ব শান্তিই আমাদের লক্ষ্য।’’ রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ১২ জন রুশ নাগরিক কাল ওই হোটেলে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছ’জনকে রেস্তোরাঁয় গুলি করা হয়।
এখন প্রশ্ন উঠছে, র্যাডিসন ব্লু-কেই কেন নিশানা করল জঙ্গিরা?
স্থানীয় প্রশাসন জানাচ্ছে, হামলার সময় ওখানে একটি শান্তি বৈঠক চলছিল। বহুদিন ধরেই মালিকে জঙ্গিমুক্ত করতে চাইছিল প্রশাসন। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, সেই শান্তি বৈঠককে ভেস্তে দিতেই এই হামলা।
গত কালের হামলার বিবরণ দিতে গিয়ে হোটেলের রেস্তোরাঁর এক কর্মী কু বলেন, ‘‘হোটেলের দরজা দিয়ে ঢুকেই জঙ্গিরা এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। তার পর রেস্তোরাঁর দরজাটা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেয়।’’