মৃত তালিবান নেতা জালালুদ্দিন হক্কানি

মোল্লা ওমরের পরে জালালুদ্দিন হক্কানি। প্রায় এক বছর আগে অসুস্থ হয়ে জালালুদ্দিন হক্কানি-র মৃত্যু হয়। তাঁকে আফগানিস্তানের খোস্তে সমাধিস্ত করা হয়েছে। শুক্রবার তালিবানের পক্ষ থেকে এ কথা স্বীকার করা হয়েছে। তাঁর ছেলে সিরাজুদ্দিন হক্কানি এখন সংগঠনের দায়িত্বে আছেন। কয়েক দিনের ব্যবধানে মধ্যেই দুই শীর্যস্থানীয় তালিবান নেতার মৃত্যুর খবর সামনে এল। আজই আফগান সরকারের সঙ্গে তালিবানদের শান্তি আলোচনা শুরু হওয়ার কথা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৫ ২১:৪৩
Share:

—ফাইল চিত্র।

মোল্লা ওমরের পরে জালালুদ্দিন হক্কানি। প্রায় এক বছর আগে অসুস্থ হয়ে জালালুদ্দিন হক্কানি-র মৃত্যু হয়। তাঁকে আফগানিস্তানের খোস্তে সমাধিস্ত করা হয়েছে। শুক্রবার তালিবানের পক্ষ থেকে এ কথা স্বীকার করা হয়েছে। তাঁর ছেলে সিরাজুদ্দিন হক্কানি এখন সংগঠনের দায়িত্বে আছেন। কয়েক দিনের ব্যবধানে মধ্যেই দুই শীর্যস্থানীয় তালিবান নেতার মৃত্যুর খবর সামনে এল। আজই আফগান সরকারের সঙ্গে তালিবানদের শান্তি আলোচনা শুরু হওয়ার কথা।

Advertisement

১৯৮০ দশকে সোভিয়েত সেনার বিরুদ্ধে লড়াই করে খ্যাতি পান জালালুদ্দিন হক্কানি। এই সময়ে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ এবং পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন জালালুদ্দিন। সোভিয়েত সেনা সরে যাওয়ার পরে আফগানিস্তান জুড়ে যে গৃহযুদ্ধ শুরু হয় তাতে তালিবানের পক্ষ নেন জালালুদ্দিন। তালিবান সরকার প্রতিষ্ঠা হলে তিনি সেই সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রীও হয়েছিলেন।

২০০১-এ তালিবানের পতনের পরে উত্তর ওয়াজিরিস্তানে আশ্রয় নেন জালালুদ্দিন। সেখান থেকে তাঁর এক সময়ের প্রশ্রয়দাতা আমেরিকার বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে শুরু করেন। আফগানিস্তানে বড়সড় আক্রমণগুলি জালালুদ্দিনের দলের কৃতিত্ব। গোয়েন্দা মহলে তা ‘হক্কানি নেটওয়ার্ক’ নামে কুখ্যাত হয়ে ওঠে। লাগাতার অভিযানেও হক্কানিকে দমন করা যায়নি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement