Taliban Marriage

ছ’বছরের পাত্রীর সঙ্গে ৪৫-এর যুবকের বিয়ে রুখে দিল তালিবান! বলল, ‘ন’বছর হলে আসুন’

দক্ষিণ আফগানিস্তানে অর্থের অভাবে শিশুকন্যাকে বিক্রি করে দিয়েছিলেন বাবা। বিয়ে দিয়েছিলেন ৪৫ বছরের যুবকের বিরুদ্ধে। সেই বিয়ে আটকে দিয়েছে তালিবান সরকার।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৫ ১৭:১২
Share:

আফগানিস্তানে বাল্যবিবাহে হস্তক্ষেপ তালিবানের। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

ছ’বছরের শিশুর সঙ্গে ৪৫ বছরের যুবকের বিয়ে রুখে দিল আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। পাত্র এবং পাত্রীর বাবাকে গ্রেফতারও করা হল। তবে পাত্রকে ফিরে আসতে বলা হল আরও বছর তিনেক পর। ওই কন্যার বয়স ৯ বছর হলে তাকে ‘শ্বশুরবাড়িতে’ পাঠানো যাবে, নিদান তালিবানের। আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যম এই খবর প্রকাশ করেছে। সমাজমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে বিয়ের বেশ কিছু ছবি ও ভিডিয়ো। যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।

Advertisement

দক্ষিণ আফগানিস্তানের মারজাহ্‌ জেলার ঘটনা। অভিযোগ, অর্থের অভাবে ওই শিশুকে বিক্রি করে দিয়েছিলেন তার বাবা। ছ’বছর বয়সি শিশুটিকেই বিয়ে করে নেন যুবক। এটি ছিল তাঁর তৃতীয় বিবাহ। বাড়িতে আরও দু’জন স্ত্রী আছেন। খবর প্রকাশ্যে আসার পর তালিবান সরকার হস্তক্ষেপ করে। বিয়ে রুখে দেওয়া হয়। শিশুটিকেও তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় সরকার। তালিবান জানিয়েছে, ৯ বছর হলে ওই শিশুকে পাঠানো যাবে যুবকের বাড়িতে। স্থানীয় তালিবান প্রশাসন এ বিষয়ে কোনও বিবৃতি জারি করেনি। তবে তারা শিশুটির শ্বশুরবাড়ি যাওয়া আটকেছে।

পাত্র এবং শিশুর বাবাকে গ্রেফতার করেছিল স্থানীয় পুলিশ। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে সরকারি ভাবে কোনও মামলা রুজু করা হয়নি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, শিশুটি আপাতত তার বাবা-মায়ের কাছেই রয়েছে।

Advertisement

আফগানিস্তানে বাল্যবিবাহ নতুন নয়। এমনকি, শিশুবিক্রির চলও রয়েছে। ২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করেছিল তালিবান। তার পর থেকেই সেখানে বাল্যবিবাহ বেড়ে গিয়েছে। এর আগে সেই দেশে মেয়েদের বিবাহের ন্যূনতম বয়সসীমা ছিল ১৬। কিন্তু তালিবান ক্ষমতায় আসার পর পূর্বতন সরকারের সেই নিয়ম বাতিল করে দেয়। তাদের শাসনে বিয়ের জন্য কোনও বয়স বেঁধে দেওয়া হয়নি। অভিযোগ, তালিবানের শাসনে আফগানিস্তানিদের মধ্যে দারিদ্র চরমে পৌঁছেছে। দারিদ্রের বশেও অনেক কন্যা সন্তানকে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন বাবা-মা।

তালিবান ক্ষমতায় আসার পর আফগানিস্তানের মহিলাদের উপর একাধিক সামাজিক বিধি আরোপ করেছে। কঠোর ভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে পর্দাপ্রথা। পরিসংখ্যান বলছে, তার পর থেকেই বাল্যবিবাহ বেড়ে গিয়েছে ২৫ শতাংশ। মানবাধিকার সংগঠনগুলি দীর্ঘ দিন ধরেই আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়ে এসেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement