—প্রতীকী চিত্র।
সংঘর্ষবিরতি নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে পারল না পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। সূত্রের খবর, যুযুধান দু’পক্ষই অনমনীয় অবস্থানে থাকায় মঙ্গলবার তুরস্কের ইস্তানবুলে দ্বিতীয় দফার শান্তিবৈঠকের ইতি হয়েছে।
সীমন্তে উত্তেজনা প্রশমন ও সংঘর্ষবিরতি কার্যকরের লক্ষ্যে শনিবার থেকে দু’দেশ দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বসেছিল তুরস্কে। সূত্রের খবর, সেখানে পাকিস্তানের তরফে আফগানিস্তানের মাটিতে সক্রিয় তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)-সহ বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর উপর নজরদারি চালানোর দাবি তোলা হয়। পাশাপাশি, আফগানিস্তানের তালিবান শাসকদের কাছে টিটিপি (পাক সরকার এবং সেনা যাদের ‘ফিতনা আল খোয়ারিজ়’ বলে চিহ্নিত করে)-র বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবি তোলে পাকিস্তান।
জবাবে পাক ফৌজের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের সীমান্ত লঙ্ঘন এবং বিমানহামলার অভিযোগ তোলেন তালিবান প্রতিনিধিরা। আফগান সূত্র জানিয়েছে, এই বিষয়ে ‘উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের’ পর আলোচনা শেষ হয়। কাবুল বলেছে, টিটিপির উপর তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। প্রসঙ্গত, গত ৯ অক্টোবর আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বিমানহানা চালিয়েছিল পাকিস্তান বায়ুসেনা। ১০ অক্টোবর সীমান্ত লাগোয়া পকতিকা প্রদেশের মারঘি এলাকায় একটি বাজারে বিমানহানা চালানো হয়। ইসলামাবাদের দাবি, হামলা চালানো হয়েছিল টিটিপির ডেরার।
ঘটনাচক্রে, আফগান সরকারের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির ভারত সফর শুরুর দিনেই হামলা হয়েছিল কাবুলে। পাক সেনার দাবি, কাবুল এবং পকতিকায় টিটিপির ঘাঁটি ছিল বিমানহানার নিশানা। এর পরে গত সপ্তাহে ধারাবাহিক ভাবে পাক বিমানহানা চলেছে আফগানিস্তানে। ডুরান্ড লাইনে পাক সেনাকে তার ‘জবাব’ দিয়েছে তালিবান বাহিনীও। কাতারের রাজধানী দোহায় গত ১৪ অক্টোবর দু’দেশের সাময়িক সংঘর্ষবিরতি চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও বিমান হামলা চালিয়ে তিন ক্রিকেটার-সহ বেশ কয়েক জন অসামরিক আফগান নাগরিককে হত্যার অভিযোগ ওঠে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে।