ছবি রয়টার্স।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ভোট-পর্ব আজ শেষ হল। একে একে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলি পার্লামেন্ট গঠনে ভোট দিয়েছে চার দিন ধরে। এই ভোট থেকে ইইউ-এর আগামী দিনগুলো কেমন হবে— তার একটা ছবি স্পষ্ট হবে। কিন্তু ভোটের প্রবণতা থেকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতীতের তুলনায় আরও ‘খণ্ডিত’ পার্লামেন্ট গঠন হতে চলেছে এ বার।
তাঁরা মনে করছেন, এই ভোটে অভিবাসন বিরোধী অতি-দক্ষিণ শক্তিগুলি প্রাধান্য পাবে। পাশাপাশি ইইউয়ের ক্ষমতাবৃদ্ধির বিরুদ্ধে যারা, সেই ‘ইউরোস্কেপটিক’দেরও গুরুত্ব বাড়বে। ইউরোপীয় কমিশনের মাথায় থাকা জঁ ক্লদ ইয়ুঙ্কারের জায়গায় কে আসবেন, সে দিকেই নজর সবার। ইইউয়ের পাশে থাকা এবং বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা এই নির্বাচনকে দেখছেন ইউরোপকে নিয়ন্ত্রণের অন্য পথ হিসেবে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ নিজের দেশে অতি-দক্ষিণ নেত্রী মেরিন লঁ পেনের সঙ্গে এমনিতেই দ্বন্দ্ব জড়িয়ে। মাকরঁ বলছেন, ‘‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ইউরোপের জন্য এত আশঙ্কাজনক সময় বোধহয় আর আসেনি।’’ ইউটিউবে প্রচারপর্বে মাকরঁ তরুণ প্রজন্মের দিকে বার্তা দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘হয় ২৬ মে, নয়তো আর নয়।’’ যদিও নিজের দেশে প্রেসিডেন্ট এখন সরকারবিরোধী প্রতিবাদে অনেকটাই কোণঠাসা। মেরিন লঁ পেনের দাবি, ‘‘মাকরঁ আবার আমাদের বলছেন চ্যালেঞ্জ জানাতে। ওঁর কথায় ওঁকেই ২৬ মে-র জন্য চ্যালেঞ্জ জানালাম।’’
মধ্য রোমে গুয়ালতিয়েরি পিনসি নামে এক ভোটার বলেছেন, ‘‘ইউরোপীয় নির্বাচনের প্রচার এর আগে এমন করে চোখে পড়েনি। বুথে ঢোকার পরেও ভেবে পাচ্ছিলাম না কাকে ভোট দেব। রাজনৈতিক ভাবে এখন সব কিছুই ভীষণ অগোছালো। কোনও দলেরই স্পষ্ট বার্তা নেই। শুধু ভাসা ভাসা ঘোষণা। আমার ইউরোপ ভাল লাগে। কিন্তু ব্রিটেনে এখন যা চলছে, তা দেখে খারাপ লাগছে।’’ ইটালির ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী মাত্তেয়ো সালভিনি জুড়েছেন ফ্রান্সের মেরিন লঁ পেনের সঙ্গে, দু’জনেই অভিবাসন-বিরোধী শিবিরের। তাঁরা চান, তাঁদের ‘ইউরোপ অব নেশনস অ্যান্ড ফ্রিডম’ (ইএনএফ) গোষ্ঠী তৃতীয় বৃহত্তম গোষ্ঠী হিসেবে উঠে আসুক।
তবে সবার চেয়ে এগিয়ে নাইজেল ফারাজের নেতৃত্বাধীন ব্রিটেনের ব্রেক্সিট পার্টি।