ট্রাম্প-মের্কেল দ্বন্দ্ব বাড়ছে

তিনি প্রেসিডেন্টের গদিতে বসার আগে থেকেই দু’জনের সম্পর্ক তেমন সুখের নয়। কারণ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেলের শরণার্থী নীতির সমালোচনা ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৭ ০৪:৫৩
Share:

জার্মানির নতুন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক-ভাল্টার স্টাইনমাইয়ার ও তাঁর স্ত্রী এলকে-কে স্বাগত জানাচ্ছেন বিদায়ী প্রেসি়েডন্ট জোয়াকিম গাউক ও তাঁর স্ত্রী ডানিয়েলা শাট। বার্লিনে প্রেসিডেন্টের বাসভবনের সামনে। ছবি: রয়টার্স

তিনি প্রেসিডেন্টের গদিতে বসার আগে থেকেই দু’জনের সম্পর্ক তেমন সুখের নয়। কারণ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেলের শরণার্থী নীতির সমালোচনা ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার। গত শুক্রবার ওয়াশিংটনে দু’জনের সাক্ষাৎ-পর্ব ভালোয় ভালোয় মেটেনি একেবারে। ওভাল অফিসে পাশাপাশি বসে দুই রাষ্ট্রপ্রধান একে অপরের সঙ্গে করমর্দন করেননি কেন, সে নিয়েও সংবাদমাধ্যমে বিস্তর জলঘোলা হচ্ছে। তারই মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্টের একটি টুইট দু’দেশের সম্পর্ক আরও জটিল করে তুলেছে।

Advertisement

ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইটারে তোপ দেগে বলেছেন, ‘‘ন্যাটোর কাছে প্রচুর অর্থ ঋণ রয়েছে জার্মানির।’’ একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, নিরাপত্তা খাতে আমেরিকাকে আরও বেশি খরচ দেওয়া উচিত জার্মানির।

গত শুক্রবার যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনেও প্রায় একই সুরে কথা বলেছিলেন ট্রাম্প। নিজের বিবৃতির ছত্রে ছত্রে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ন্যাটো বাহিনী চালাতে আমেরিকাকে কতটা বেশি ‘অর্থের বোঝা’ বইতে হচ্ছে। তখনই তিনি দাবি করেছিলেন, মিত্র দেশগুলির উচিত অবিলম্বে নিরাপত্তা খাতে খরচের পরিমাণ আরও অনেকটা বাড়ানো। আঙ্গেলা অবশ্য জানিয়েছিলেন ২০১৪ সালেই জিডিপি-র দুই শতাংশ সামরিক খাতে ব্যবহার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জার্মানি। ট্রাম্পের কালকের টুইট বোমার উত্তরে অবশ্য এখনও মুখ খোলেননি জার্মান চ্যান্সেলর। তবে মুখ খুলেছেন ন্যাটোর প্রাক্তন মার্কিন দূত ইভো ডালডের। তাঁর টুইট, ‘‘দুঃখিত মিস্টার প্রেসিডেন্ট, ন্যাটো সদস্যরা এ ভাবে কাজ করে না।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ন্যাটো কোনও আর্থিক লেনদেনের জায়গা নয়।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে অবশ্য আমেরিকা-জার্মানির সম্পর্কের শীতলতা নিয়ে গোটা বিশ্বেই আলোচনা শুরু হয়েছে। শুক্রবারের যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বুঝেই হয়তো এ নিয়ে টুইট করেছেন ট্রাম্প। লিখেছেন, ‘‘এটা বলতেই হয় যে জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে আমার বৈঠকটা দারুণ ছিল!’’

তাতে অবশ্য চিঁড়ে ভিজছে না। যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে দু’জনের বিবৃতিতেই যথেষ্ট ফারাক ছিল। তার উপর যোগ হয়েছে করমর্দন বিতর্ক। শুক্রবার হোয়াইট হাউসে ঢোকার সময় দু’দেশের প্রধান হাত মিলিয়েছিলেন। কিন্তু ওভাল হাউসে যখন দু’জন পাশাপাশি বসেন, তখন মের্কেল আরও এক বার করমর্দনের কথা বলেছিলেন, যাতে নাকি আমলই দেননি ট্রাম্প। জল এত দূর গড়িয়েছে যে, জার্মানির কাগজে এ নিয়ে নতুন করে বিবৃতি দিতে বাধ্য হয়েছে হোয়াইট হাউস। ট্রাম্পের মুখপাত্র শন স্পাইসার জার্মান সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয়, করমর্দনের আবেদন প্রেসিডেন্ট শুনতেই পাননি। শুনলে মের্কেলকে ফেরাতেন না তিনি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন