সিরিয়ার ধর্ষণে কাঠগড়ায় সেনাও

কখনও তল্লাশি করতে এসে বা তদন্তের অছিলায় বাড়িতে ঢুকে এই ধরনের অত্যাচার চালানো অভ্যেসে পরিণত হয়েছে সেনাবাহিনী ও জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের। ধর্ষণের হাত থেকে রেহাই পায়নি শিশুরাও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৮ ০২:৪৮
Share:

অসহায়: সিরিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত গুটা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। শুক্রবার দামাস্কাসের কাছে। ছবি: এএফপি।

অসংখ্য মহিলা ও শিশুদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে সিরিয়ায়, বাদ যাননি পুরুষরাও। বৃহস্পতিবার সিরিয়া সরকার এবং সেনার বিরুদ্ধে এমনই গুরুতর অভিযোগ আনল রাষ্ট্রপুঞ্জ।

Advertisement

আজও সিরিয়া সরকার ও রুশ হামলায় গুটাতে ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। উত্তর সিরিয়ার কুর্দ-অধ্যুষিত অন্য একটি শহরে তুরস্কের বিমান হানায় হত ২২ জন।

রাষ্ট্রপুঞ্জের এক তদন্তে উঠে এসেছে যে, যুদ্ধচলাকালীন যৌন নিগ্রহের মুখে পড়তে হয়েছে সিরিয়ার জনতাকে। এর বেশিরভাগের পিছনেই হাত ছিল সিরিয়ার অন্দরের নানা গোষ্ঠীর। এর সঙ্গে নানা পদস্থ আধিকারিকও যুক্ত বলে তদন্তকারীদের দাবি। অত্যাচারের শিকার হওয়ার পর অনেক মহিলাই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। অভিযোগ জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর দিকে। এমনিতেই তাদের বিরুদ্ধে মহিলা ও অল্পবয়সি মেয়েদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ নতুন নয়। আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার নামে পাথর ছুড়ে শাস্তি দেওয়ার অভিযোগ আইএসের বিরুদ্ধে অনেক দিনের। তদন্ত রিপোর্টে উঠে এসেছে, এই ধরনের অত্যাচারের শিকার হয়ে কিংবা তার থেকে নিজের পরিবারকে রক্ষা করতে, কুড়ি হাজারেরও বেশি মানুষ দক্ষিণ পূর্ব সিরিয়ার হামুরিয়া শহর এবং তার আশপাশের অঞ্চল থেকে পালিয়ে গিয়েছেন।

Advertisement

কখনও তল্লাশি করতে এসে বা তদন্তের অছিলায় বাড়িতে ঢুকে এই ধরনের অত্যাচার চালানো অভ্যেসে পরিণত হয়েছে সেনাবাহিনী ও জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের। ধর্ষণের হাত থেকে রেহাই পায়নি শিশুরাও। রাস্ট্রপুঞ্জের আধিকারিকদের বক্তব্য অনুযায়ী, সরকারি, রাজনৈতিক এবং গোয়েন্দা শাখা থেকেই এই সব তথ্য সামনে এসেছে। যার প্রমাণ রয়েছে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি নথিতে।

মূলত তথ্য সংগ্রহ এবং স্বীকারোক্তি আদায় করতে গিয়েই যৌন অত্যাচারগুলি সংগঠিত করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের পক্ষ থেকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement