—ফাইল চিত্র।
ইরাকে পতনের মুখে আইএস-এর শেষ বড় ঘাঁটি। ইতিমধ্যেই মসুল পুনরুদ্ধারে নেমে পড়েছে মার্কিন সাহায্যপ্রাপ্ত ইরাকি বাহিনী। আর ঠিক সেই সময়েই সিরিয়ায় আইএস-এর স্বঘোষিত রাজধানী রাকা থেকেও এ বার আইএস উচ্ছেদ করতে নামল মার্কিন সাহায্যপ্রাপ্ত কুর্দ আর আরব সেনার জোট বা সিরিয়া ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস (এসডিএফ)।
আজ একটি সাংবাদিক সম্মেলনে এসডিএফ কম্যান্ডোরা জানান, প্রায় ৩০ হাজার সেনা এই অভিযানে অংশগ্রহণ করবে। তাঁদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রথমে রাকা শহরের আশপাশের গ্রাম থেকে জঙ্গিদের সরানো হবে। তার পরে ধীরে ধীরে মূল শহরের দিকে এগোবে এসডিএফ। তবে রাকাবাসীদের কাছে কম্যান্ডোদের অনুরোধ, তাঁরা যেন জঙ্গি ঘাঁটি থেকে দূরে থাকেন। জঙ্গিরা যেন কোনও মতেই স্থানীয়দের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে, সে দিকেই ইঙ্গিত করেছে সেনা বাহিনী। বরং যে যে এলাকাগুলি জঙ্গিমুক্ত হয়ে যাবে, সেখানে স্থানীয়দের সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কম্যান্ডোরা।
এসডিএফের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ কুর্দ সেনা বাহিনী বা ওয়াইপিজি। রাকা অভিযানে অংশগ্রহণকারী ৩০ হাজার সেনাদের মধ্যে ২৫ হাজারই এই ওয়াইপিজি-র সদস্য বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।
২০১৪ সালের জুন মাসে মসুলের দখল নিয়েছিল আবু বকর আল-বাগদাদির বাহিনী। আইএস-এর দাপটে ইরাকের বিস্তীর্ণ অংশে সে সময়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল ইরাকের সরকারি বাহিনী। দেশের বিরাট এলাকা চলে গিয়েছিল আইএস-এর নিয়ন্ত্রণে। তার পর থেকেই মার্কিন বাহিনীর সাহায্য নিয়ে যৌথ ভাবে আইএস বিরোধী অভিযান তীব্র করতে শুরু করেছে ইরাকের সরকারি বাহিনী। সেই সামরিক জোটে যোগ দেয় কুর্দিশদের নিজস্ব বাহিনী, সুন্নি-আরব উপজাতির বাহিনী। তার জেরেই আপাতত একটু একটু করে পিছু হটছে আইএস। আর এখন ইরাকে আইএস-এর শেষ দুর্ভেদ্য দুর্গটা ধূলিসাৎ করতে পারলেই আইএস প্রায় ‘ভিটেহারা’ হয়ে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই সময়েই রাকা অভিযানে নেমেছে এসডিএফ। এই দু’টি অভিযানের মধ্যে কি কোনও সম্পর্ক রয়েছে? কুর্দ বাহিনী জানিয়েছে, সময় মিলে যাওয়াটা নিছকই কাকতালীয়। যদিও তা সব দিক থেকে ভাল বলেই মত তাঁদের। তবে মসুল পুনরুদ্ধারের তুলনায় রাকা দখল আরও বেশি কঠিন এবং আরও বেশি সময় সাপেক্ষ বলেই মত মার্কিন সেনাবাহিনীর।
বলি ছয় শিশু
মেঝেতে চাপ চাপ রক্ত। স্লিপের নীচে, দেয়ালের গায়ে তখনও সকালের আতঙ্কের ছবিটা স্পষ্ট। রবিবার সকাল দশটা নাগাদ হঠাৎই দামাস্কাসের শহরতলির একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল লক্ষ করে গুলি ছোড়ে আসাদপন্থী সেনা বাহিনী। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ছয় শিশুর। ব্রিটেনে সিরিয়ার একটি মানবাধিকার সংগঠন জানিয়েছে, রবিবারের এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত আহতের সংখ্যা ১৭।