জঙ্গি-তাণ্ডবে অরক্ষিত হয়ে পড়ছিল রাজধানী। ইরাক সরকারের আর্জি মেনে আইএসআইএস (ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া) জঙ্গিদের পিছু হটাতে কাল বাগদাদের কাছে হামলা চালাল মার্কিন বিমান।
গত এক মাসে কয়েক বার জঙ্গি অধ্যুষিত ইরাকে হামলা চালিয়েছে মার্কিন বিমান। তবে রাজধানী সংলগ্ন এলাকায় হামলা এই প্রথম। পশ্চিম এশিয়ায় জঙ্গি-দৌরাত্ম্য রুখতে গত কাল প্যারিসের বৈঠকে ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন হামলার সিদ্ধান্ত সর্বসম্মত ভাবে গ্রহণ করা হয়।
বিমান হামলার আর্জি জানায় খোদ ইরাক সরকার। তার পরেই বাগদাদ থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে সাদর আল-ইউসুফিয়া প্রদেশে এবং শিনজার পাহাড় বরাবর হামলা চালায় আমেরিকা। আমেরিকার আক্রমণে জঙ্গিদের ছ’টি অস্ত্রবোঝাই গাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। গত কয়েক দিন ধরেই বাগদাদের দক্ষিণ পশ্চিমে ঘাঁটি গেড়ে ইরাকি সেনার সঙ্গে গুলিযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছিল জঙ্গিরা। গত কালের মার্কিন হামলায় সেখান থেকে জেহাদিরা পিছু হটেছে। আমেরিকার এই হামলাকে স্বাগত জানিয়ে আজ ইরাকের এক সেনা মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাশেম আত্তা বলেন, “জঙ্গিদের ঠেকাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কাল হামলা চালিয়েছে আমেরিকা।”
এ দিকে, জঙ্গি নিধনে আমেরিকাকে সমর্থনের আর্জি উড়িয়ে দিল ইরান। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, জঙ্গিদের বিরোধিতা করলেও তারা কখনওই আমেরিকার সঙ্গে হাত মেলাতে রাজি নয়। এ দিকে, আগামী রবিবার পোপ ফ্রান্সিসের এক দিনের আলবেনিয়া সফর নিয়ে ভ্যাটিকানকে সতর্ক করেছে ইরাকের দূতাবাস।
সম্প্রতি আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় পোপের উপর হামলা করা হতে পারে বলেও জানিয়েছে তারা। আগামী নভেম্বরে পোপের তুরস্ক সফরের কথা উল্লেখ করে দূতাবাসের এক কর্মী বলেন, “বিদেশ সফরে পোপের প্রাণনাশের আশঙ্কা বেশি। তবে কানাডা, আমেরিকা, ফ্রান্স এমনকী ইতালিতেও আইএস জঙ্গিরা ছড়িয়ে রয়েছে। ভাটিক্যানেও যে ওরা নাশকতা ছড়াবে না তা নিয়ে আমরা নিশ্চিত নই।”