Joe Biden

Russia-Ukraine Conflict: রাশিয়াকে ‘দুর্বল’ করতে চান বাইডেন

‘‘আমরা চেষ্টা করছি রাশিয়া যাতে ওদের সেনাবাহিনীর উন্নয়নে আর কখনও বিনিয়োগ করতে না পারে। প্রযুক্তিগত ভাবেও রাশিয়াকে অক্ষম করে দিতে চাইছি।’’

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৮:১০
Share:

আর্থিক, ব্যাঙ্কিং থেকে শুরু করে পরিবহণ, রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আমেরিকা। ফাইল চিত্র।

হুঁশিয়ারি মতো রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে বিশেষ সামরিক অভিযান ঘোষণার পর পরই মস্কোর বিরুদ্ধে নানাবিধ নিষেধাজ্ঞার বোঝা চাপিয়েছে আমেরিকার জো বাইডেন প্রশাসন। হোয়াইট হাউসের ব্যাখ্যা, রুশ প্রশাসনকে আর্থিক ভাবে গোটা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চাইছে তারা। প্রেসিডেন্ট বাইডেনও গত কাল এক বক্তৃতায় স্পষ্ট জানিয়েছেন, রাশিয়া যাতে ভবিষ্যতে আর যুদ্ধে নামার কথা ভাবতে না পারে, তার জন্যই মস্কোর বিরুদ্ধে কঠোরতম নিষেধাজ্ঞা জারির কথা ভাবছেন তাঁরা। যাতে সামরিক খাতে ক্রেমলিন আর্থিক বিনিয়োগই করতে না পারে।

Advertisement

আর্থিক, ব্যাঙ্কিং থেকে শুরু করে পরিবহণ, রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আমেরিকা। যার মধ্যে আমেরিকায় রাশিয়ার অন্যতম চারটি বড় ব্যাঙ্কের যাবতীয় কাজকর্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফ্রিজ় করা হয়েছে তাদের সম্পত্তি। যাদের মধ্যে বৃহত্তম ব্যাঙ্কটির সম্পত্তির পরিমাণ আড়াইশো কোটি ডলার। রাশিয়ায় আমেরিকান জিনিসপত্র রফতানির ক্ষেত্রেও নানা সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বাইডেনের কথায়, ‘‘আমরা চেষ্টা করছি রাশিয়া যাতে ওদের সেনাবাহিনীর উন্নয়নে আর কখনও বিনিয়োগ করতে না পারে। প্রযুক্তিগত ভাবেও রাশিয়াকে অক্ষম করে দিতে চাইছি আমরা।’’

রাশিয়ার এই যুদ্ধকে যে সব দেশ সমর্থন করবে, তাদেরও আমেরিকার রোষের মুখে পড়তে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন বাইডেন। আন্তর্জাতিক ভাবে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথাও বলেছেন প্রেসিডেন্ট। আকারে ইঙ্গিতে বাইডেন এখানে পাকিস্তানের প্রসঙ্গ টেনেছেন বলেই মনে করছেন অনেকে। নেটোভুক্ত রাষ্ট্রগুলিকে রুশ আগ্রাসনের হাত থেকে বাঁচাতে তাঁর প্রশাসন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানিয়েছেন বাইডন। তবে ইউক্রেনে আমেরিকা নিজেদের সামরিক বাহিনী নামাবে না বলে আরও এক বার স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

আমেরিকার সঙ্গে ব্রিটেনও গত কাল রাশিয়ার বিরুদ্ধে একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করেছিল। ব্রিটিশ পরিবহণ মন্ত্রক পার্লামেন্টে এ বার জানিয়েছে, এরোফ্লোট নামে যে রুশ সংস্থার উড়ান ব্রিটেনে যেত, তার উপরে সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। রাশিয়া থেকে ভারত হয়ে ব্রিটেন যেত উড়ানটি। তা ছাড়া ক্রেমলিন-ঘনিষ্ঠ বেশ কিছু উচ্চবিত্ত রুশ নাগরিকের বিরুদ্ধেও নতুন করে নিষধাজ্ঞা জারি করেছে বরিস জনসন সরকার। সেই তালিকায় রয়েছে প্রেসিডেন্ট পুতিনের জামাই কিরিল শামোলোভের নামও। পাল্টা নিজেদের আকাশসীমার মধ্যে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ়ের বিমানের গতিবিধি নিষিদ্ধ করেছে মস্কো।

আমেরিকা, ব্রিটেনের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নও ইতিমধ্যেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে বেশ কিছু আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কিন্তু ইউরোপীয় কমিশনের মুখপাত্র পিটার স্ট্যানো আজ ফের বলেছেন, মস্কোর বিরুদ্ধে আরও কঠোরতম প্যাকেজের কথা ভাবছে তাঁদের সংগঠন। ইইউ রাশিয়ার বিরুদ্ধে যত কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করবে, তার ফল ইউরোপের অন্য দেশগুলিকেও ভুগতে হবে বলে আশঙ্কা জানিয়েছেন লুক্সেমবুর্গের প্রধানমন্ত্রী জ়েভিয়ের বেটল। যদিও তাঁর সংযোজন, ‘‘শান্তিরও তো কিছু মূল্য রয়েইছে।’’

তথ্য সহায়তা: শ্রাবণী বসু

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement