Donald Trump

‘স্কোয়াড’ গড়েই সক্রিয় ট্রাম্প, এ বার দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিংকে রুখতে ফিলিপিন্স পাবে এফ-১৬

দক্ষিণ চিন সাগরের অধিকাংশ এলাকাই নিজেদের অংশ বলে দাবি করে বেজিং। তা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে ফিলিপিন্স, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ব্রুনেইয়ের সঙ্গে বিবাদ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:৫৭
Share:

চিনকে রুখতে ফিলিপিন্সকে এফ-১৬। ছবি: সংগৃহীত।

তাইওয়ানের পর এ বার ফিলিপিন্স। দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিংয়ের আগ্রাসন রুখতে আর এক দেশের দিকে সামরিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিল আমেরিকা। মঙ্গলবার ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।

Advertisement

শীঘ্রই এ সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত চুক্তি সই হবে বলে ওয়াশিংটন সূত্রের খবর। ৫৫৮ কোটি ডলারের (প্রায় ৪৭৬৮৮ কোটি টাকা) ওই চুক্তির অনুযায়ী ফিলিপিন্সকে মোট ২০টি এফ-১৬ দেবে আমেরিকা। ফিলিপিন্সকে ‘দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি’ বলে বর্ণনা করেছে ট্রাম্প সরকার।

দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিংকে চাপে রাখার জন্য সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং ফিলিপিন্সকে নিয়ে নতুন সামরিক জোট ‘স্কোয়াড’ গড়েছে আমেরিকা। তাতে সামিল হওয়ার জন্য বার্তা দেওয়া হয়েছে ভারত এবং দক্ষিণ কোরিয়াকেও। এর আগে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বেজিংয়ের আধিপত্য রুখতে আমেরিকার নেতৃত্বে ২০০৭ সালে ‘কোয়াড’ (কোয়াড্রিল্যাটারাল সিকিউরিটি ডায়ালগ) গঠিত হয়েছিল। ওই সামরিক জোটের সদস্য ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপান। এ বার দক্ষিণ চিন সাগর অঞ্চলেও একই পথে হাঁটতে চলেছেন ট্রাম্প।

Advertisement

দক্ষিণ চিন সাগরের অধিকাংশ এলাকাই নিজেদের অংশ বলে দাবি করে বেজিং। তা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে ফিলিপিন্স, তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ব্রুনেইয়ের মতো প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে একদলীয় চিনের কমিউনিস্ট শাসকগোষ্ঠীর বিরোধও রয়েছে। ফিলিপিন্স এবং চিনের বিরোধের অন্যতম কারণ দক্ষিণ চিন সাগরের সেকেন্ড থমাস শোলে দ্বীপকে কেন্দ্র করে। ফিলিপাইন দ্বীপের পালাওয়ান থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ওই দ্বীপে ১৯৯৯ সালে ফিলিপিন্স নৌবাহিনী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার একটি জাহাজে অস্থায়ী নৌঘাঁটি বানিয়ে অবস্থান নিয়েছিল প্রায় দু’দশক আগে।

আবার ২০১২ সালে ফিলিপিন্সের কাছ থেকে স্কারবোরো শোলে দ্বীপের দখল নিয়েছিল চিনা ‘পিপলস্‌ লিবারেশন আর্মি’ (পিএলএ)। যা নিয়ে দু’দেশের যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ২০১৬ সালের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের মোট বাণিজ্য সামগ্রীর প্রায় ২১ শতাংশই এই সমুদ্রপথ দিয়ে পরিবহণ করা হয়। বিগত কয়েক বছরে সেই পরিমাণ আরও বেড়েছে। ফলে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে চিনের সংঘাতের পারদ চড়ছে। এ বার সেই সংঘাতের ক্ষেত্রে বেজিংয়ের বিরুদ্ধে তৎপরতায় শরিক হল আমেরিকা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement