Trump's Tariff war

‘ভুল শুধরে নাও, নইলে চিনও যা করার করবে’! ট্রাম্পের ১৫৫ শতাংশ শুল্ক-হুঁশিয়ারি নিয়ে বার্তা দিল জিনপিংয়ের দেশ

চিনা পণ্যে ১৫৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বার জবাব দিল চিনও। ওয়াশিংটনের উদ্দেশে বেজিঙের বার্তা, ‘‘ভুল শুধরে আলোচনায় বসো। নইলে চিনও যা করার করবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:৫৭
Share:

(বাঁ দিকে) ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং শি জিনপিং। —ফাইল চিত্র।

চিনা পণ্যে ১৫৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বার জবাব দিল চিনও। ওয়াশিংটনের উদ্দেশে বেজিঙের বার্তা, ‘‘ভুল শুধরে আলোচনায় বসো। নইলে চিনও যা করার করবে।’’

Advertisement

কলকাতায় চিনের কনসাল জেনারেল শু ওয়েই জানান, আমেরিকা তাদের কড়া মনোভাব থেকে সরে না এলে চিনও যথাযথ জবাব দেবে। চিনা কূটনীতিকের কথায়, ‘‘চিনের অবস্থান খুবই স্পষ্ট। আমরা দ্বন্দ্ব চাই না। কিন্তু বাধ্য করা হলে, আমরাও কড়া জবাব দেব। আমেরিকা যদি কথা বলতে চায়, দরজা খোলা রয়েছে। সহযোগিতায় দু’পক্ষই উপকৃত হবে। আর দ্বন্দ্বে ঠিক উল্টোটা। আমেরিকার কাছে আমাদের অনুরোধ, ভুল শুধরে আলোচনার মাধ্যমে দ্বন্দ্ব মেটানো হোক। যদি তা নয়, চিনও নিজেদের অধিকার রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।’’

বর্তমানে আমেরিকার বাজারে চিনা পণ্যের উপর ৫৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর রয়েছে। ট্রাম্পের দাবি, ১ নভেম্বরের মধ্যে চিনের সঙ্গে আমেরিকার কোনও চুক্তি না-হলে বেজিংয়ের উপর ১৫৫ শতাংশ শুল্ক চাপানো হবে। গত সোমবার হোয়াইট হাউস থেকে তিনি বলেন, “চিন আমাদের (আমেরিকার) প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল বলেই মনে করি। তারা আমাদের প্রচুর পরিমাণে শুল্ক দিচ্ছে। আপনারা সকলেই জানেন, তারা ৫৫ শতাংশ (শুল্ক) দিচ্ছে, এটি অনেক। তবে অনেক দেশই রয়েছে, যারা আমেরিকার থেকে সুবিধা নিয়েছে। কিন্তু এখন আর তারা সেই সুবিধা নিতে পারছে না। চিন এখন ৫৫ শতাংশ শুল্ক দিচ্ছে। আমাদের মধ্যে যদি কোনও চুক্তি না-হয়, তবে ১ নভেম্বর থেকে সম্ভবত ১৫৫ শতাংশ শুল্ক দেবে তারা।”

Advertisement

যদিও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তাঁর ‘সুসম্পর্ক’ রয়েছে বলেই দাবি করেছিলেন ট্রাম্প। জিনপিংয়ের সঙ্গে তিনি দেখা করবেন বলেও জানিয়েছিলেন। তাঁর কথায়, “আমি প্রেসিডেন্ট শি-র সঙ্গে দেখা করব। আমাদের সম্পর্ক খুব ভাল। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় আমরা দেখা করব। আমার মনে হয়, আমরা এমন একটি উপায় বার করব, যাতে দুই দেশেরই উপকার হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement