Earthquake in Karachi

পর পর ভূমিকম্পে ফাটল ধরল করাচির জেলে! সেই সুযোগে দেওয়াল ভেঙে পালালেন ২০০-র বেশি বন্দি

ঠিক কত জন বন্দি জেল ছেড়ে পালিয়েছেন, তা নিশ্চিত করে সরকারি সূত্রে জানানো হয়নি। তবে বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হচ্ছে পলাতক বন্দির সংখ্যা ২০০-র বেশি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫ ১২:১৯
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

ভূমিকম্পের জেরে জেলে ফাটল, ভাঙল ছাদের একাংশ। আর সেই সুযোগ নিয়ে পাকিস্তানের কারাগার থেকে পলাতক ২০০-র বেশি বন্দি। সোমবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে করাচির মালির কারাগারে (বাচা জেল নামে পরিচিত)। রবিবার থেকে পর পর ভূমিকম্পে কেঁপে উঠছে পাকিস্তানের দক্ষিণে উপকূলবর্তী করাচি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিন বার কেঁপে ওঠে। মৃদু কম্পন অনুভূত হলেও আতঙ্ক ছড়ায় করাচির বিভিন্ন প্রান্তে। ভূমিকম্পের জেরে ফাটল দেখা দেয় বাচা জেলে। শুধু জেলের দেওয়ালে ফাটল তা নয়, ভেঙে পড়ে ছাদের একাংশও। ফলে বন্দিদের মধ্যে হই হট্টগোল শুরু হয় জেলের মধ্যেই। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনেক বন্দি জেল ভেঙে পালান!

Advertisement

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘ডন’ সূত্রে খবর, ছাদ ভেঙে পড়ায় বন্দিদের মধ্যে হু়ড়োহুড়ি লেগে গিয়েছিল। সকলেই এ দিক, ও দিক ছোটাছুটি করছিলেন। পুলিশ এবং জেলরক্ষীদের তা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়। ভূমিকম্পের সময় প্রায় হাজার জন বন্দিকে তাঁদের ব্যারাক থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময়ই কয়েক জন বন্দি জেল থেকে পালান।

ঠিক কত জন বন্দি জেল ছেড়ে পালিয়েছেন, তা নিশ্চিত করে সরকারি সূত্রে জানানো হয়নি। তবে বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, পলাতক বন্দির সংখ্যা দু’শোর বেশি। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হয়েছিল, বন্দিরা জেলের মূল ফটক ভেঙে পালিয়েছেন। তবে পরে জানা যায় বেশির ভাগ বন্দিই জেলের দেওয়াল ভেঙে পালান।

Advertisement

অনেকেই জেলরক্ষীদের থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নেন। তার পরে সেই বন্দুক উঁচিয়ে ভয় দেখিয়ে পালিয়ে যান বন্দিরা। কেউ কেউ আবার গুলিও চালান। জেলের মধ্যে গোলাগুলি চলায় আতঙ্ক ছড়ায় স্থানীয়দেরও মধ্যে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশও গুলি চালায় বলে খবর। একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, গোলাগুলিতে এক জন বন্দির মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়াও তিন জন ফ্রন্টিয়ার কর্পস (এফপি) কর্মী এবং এক জন জেলরক্ষী আহত হন।

বন্দি পালানোর খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা শহরে সতর্কতা জারি করা হয়। বিভিন্ন জায়গায় নাকা চেকিং শুরু করে পুলিশ। জাতীয় সড়কে বিভিন্ন রুট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত ৮০ জন বন্দি ধরা পড়েছেন। তবে বাকি শতাধিক বন্দি এখনও পলাতক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement