International News

দুই বোনের পর আরও এক নাবালিকা, পাকিস্তানে ফের হিন্দু কিশোরীকে ধর্মান্তরণ!

বাদিনের এসএসপি সর্দার হাসান নিয়াজিকে অবিলম্বে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী হরি রাম কিশোরী লাল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ইসলামাবাদ শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৯ ১৫:০৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

এক সপ্তাহও কাটেনি। ফের সিন্ধ প্রদেশ। আবারও হিন্দু নাবালিকাকে জোর করে ধর্মান্তরণের অভিযোগ উঠল পাকিস্তানে। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে সিন্ধ প্রদেশের বাদিন জেলার ধানি বুকশ গ্রামে। অভিযোগ, জোর করে বাড়িতে ঢুকে বছর ষোলোর ওই নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করা হয়। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়ে রিপোর্ট তলব করেছেন সিন্ধের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী হরি রাম কিশোরী লাল। পর পর এ ভাবে ধর্মান্তরণের ঘটনায় কার্যত গোটা সিন্ধ প্রদেশেই হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।

Advertisement

পুলিশ ও পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ভোর রাত তিনটে নাগাদ চার যুবক ওই নাবালিকার বাড়ির দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে পড়ে। বাইরে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রেখেছিল তারা। তাকে জোর করে বাড়ি থেকে বার করে গাডি়তে তুলে নেয়। তার পর চম্পট দেয় ওই যুবকরা। ওই কিশোরীর বাবা অভিযোগ করেছেন, তাঁর মেয়েকে পরে জোর করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করা হয়েছে।

তবে গ্রামবাসীদের দাবি, চার যুবকের মধ্যে এক জনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ওই নাবালিকার। তার সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছে। তাঁদের আরও দাবি, নাবালিকা স্বেচ্ছায় মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। প্রণয়ের সম্পর্ক বা জোর করে ধর্মান্তরণ— পুলিশ যদিও কোনও তথ্যই নিশ্চিত করেনি।

Advertisement

আরও পড়ুন: মহাকাশে ভারত এখন মহাশক্তি, বললেন মোদী

আরও পড়ুন: সোমনাথ মন্দিরে পুরোহিত ধমকেছিলেন রাহুলকে, বললেন আদিত্যনাথ

পুলিশ অভিযোগ পেয়েই দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। বাদিনের এসএসপি সর্দার হাসান নিয়াজিকে অবিলম্বে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী হরি রাম কিশোরী লাল। ওই পরিবারের সুরক্ষায় উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশও দিয়েছেন মন্ত্রী। পাশাপাশি সিন্ধের সংখ্যালঘু ডিরেক্টর মুস্তাক আহমের সুমরোকে ওই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় সাহায্যের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।

কয়েক দিন আগে সিন্ধ প্রদেশেরই ঘোকতি এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের নাবালিকা দুই বোনকে জোর করে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করানো এবং জোর করে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পাকিস্তানের দাবি ছিল, জোর করে নয়, স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে তারা। ওই ঘটনা নিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এবং পাক তথ্যমন্ত্রীর মধ্যে রীতিমতো টুইট যুদ্ধ হয়। সুষমার বক্তব্য ছিল, ‘স্বেচ্ছায় নয়, জোর করেই ধর্মান্তরণ করা হয়েছে দুই বোনকে। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও বিশ্বাস করবেন না যে ওই দুই নাবালিকা স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

পরে ইমরানও দুই বোনের ধর্মান্তরণের অভিযোগের তদন্ত এবং তাঁদের উদ্ধারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার এই মামলাটি ওঠে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে। বিচারপতি দ্রুত ওই দুই কিশোরীকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ-প্রশাসনকে। সময়সীমা দেওয়া হয়েছে এক সপ্তাহ। তার মধ্যেই ওই দুই কিশোরীকে আদালতে হাজির করাতে হবে পুলিশকে। কিন্তু এত ব্যবস্থা নেওয়ার পরও ফের প্রায় একই রকম ঘটনা ঘটায় পাক প্রশাসনের সদিচ্ছা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন