কেন দুর্ঘটনা, জানতে লাগবে অন্তত দু’মাস

সোমবার দুপুরে কাঠমান্ডুর এটিসি-তে যাঁরা কর্মরত ছিলেন, দুর্ঘটনার পরেই তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে সঞ্জীব জানান, তা শাস্তিমূলক নয়।

Advertisement

সুনন্দ ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৮ ০২:৫৫
Share:

ফাইল চিত্র। এএফপি।

সত্যিই কি পাইলটের সঙ্গে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) অফিসারের ভুল বোঝাবুঝির জন্য ভেঙে পড়ল ইউএস বাংলার বম্বার্ডিয়ার বিমান? জানতে অন্তত দু’মাস অপেক্ষা করতে হবে বলে বুধবার জানালেন সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব নেপাল-এর ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব গৌতম।

Advertisement

সোমবার দুপুরে ওই বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান ৪৯ জন। ঘটনার পরই বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে নেপাল সরকার। কাঠমান্ডু থেকে ফোনে সঞ্জীব বলেন, ‘‘ভবিষ্যতে এই ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে তদন্ত কমিটির কাছ থেকে প্রাথমিক পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। তবে, ঠিক কী কারণে দুর্ঘটনা, তা জানতে অন্তত দু’মাস অপেক্ষা করতেই হবে।’’ বিমানের ব্ল্যাক বক্স, এটিসি-র সঙ্গে পাইলটের কথোপকথনের টেপ, বিমানের ধ্বংসাবশেষ সব তদন্ত কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সঞ্জীবের কথায়, ‘‘বিমানের দুই পাইলটের অভিজ্ঞতা, বিমান ছাড়ার আগে তাঁদের শারীরিক অবস্থা — এ সব কিছুই তদন্ত কমিটি খতিয়ে দেখবে। ফলে সময় তো লাগবে।’’

সোমবার দুপুরে কাঠমান্ডুর এটিসি-তে যাঁরা কর্মরত ছিলেন, দুর্ঘটনার পরেই তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে সঞ্জীব জানান, তা শাস্তিমূলক নয়। কারণ, এমন দুর্ঘটনায় মানসিক চাপ পড়ে। তা নিয়ে এটিসি-তে কাজ করা ঠিক নয়।

Advertisement

সোমবার সন্ধ্যা থেকেই কাঠমান্ডুতে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। মৃত ও আহত বিমানযাত্রী ও কর্মীদের আত্মীয়েরা মঙ্গলবার কাঠমান্ডুতে পৌঁছেছেন। বেশ কিছু দেহ এমন ভাবে পুড়ে গিয়েছে যে সেগুলি চিহ্নিত করাই মুশকিল হয়ে গিয়েছে। বিমান দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে আগেও দেখা গিয়েছে, হাতের আংটি বা গলার হার দেখে দেহ শনাক্ত করেছেন আত্মীয়রা। কাঠমান্ডু হাসপাতালের ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ এম এ আনসারি জানিয়েছেন, দেহগুলি শনাক্ত করতে এক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। সঞ্জীব বলেন, ‘‘এমন দুর্ঘটনার পরে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক। তবে জানিয়ে রাখি, ২০১৭ সালে সারা বিশ্বে ৪১০ কোটি মানুষ যাত্রী-বিমানে যাতায়াত করেছেন। বিমান দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন ৩৯ জন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন