Bee

honeybee Lockdown: চলছে মৌমাছিদের লকডাউন! মৌচাকের চৌহদ্দি ছেড়ে দূরে গেলেই বিপদ

মৌচাক থেকে বেশি দূরে যেতে পারবে না মৌমাছিরা। প্রহরীদের কড়া নির্দেশে বলা হয়েছে, মৌমাছিদের গতিবিধি যে কোনও মূল্যে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২২ ১৫:৫৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

মৌচাকেই বন্দি থাকতে হবে মৌমাছিদের। মধুকরদের এক প্রাণঘাতী ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচাতে অস্ট্রেলিয়ার প্রশাসন এই ঘোষণা করেছে সম্প্রতি।

Advertisement

রোগ যাতে না বাড়ে, তাই কোয়ারেনটাইন জোন বানিয়ে রোগগ্রস্ত কয়েক লক্ষ মৌমাছিকে আলাদা করা হয়েছে। লাগাম টানা হয়েছে কাছাকাছি এলাকার মৌমাছি চাষের কেন্দ্রগুলিতেও। ঠিক যেমন করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন ঘোষণা করে ঘরবন্দি করা হয়েছিল মানুষকে। নিয়ম যাতে মানা হয়, তার জন্য পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ায় অবশ্য এই দায়িত্ব দেওযা হয়েছে বি-কিপারদের। অর্থাৎ যাঁরা মৌমাছির চাষ করেন এবং তাদের দেখভাল করেন।

দিন কয়েক আগেই অস্ট্রেলিয়ায় এক পরজীবী পোকার প্রাদুর্ভাব হয়েছে। আকারে একটি তিলের দানার থেকেও ছোট এই পোকা মৌমাছিদের শরীরে থেকে ভাইরাস ছড়ায় বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। ওই ভাইরাসেই আক্রান্ত হয়ে মারা যায় মৌমাছিরা। ফলে রোগ ছড়ালে অস্ট্রেলিয়ার মধু ব্যবসায়ীদের কয়েক কোটি ডলারের আর্থিক ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। উদ্বেগ থেকেই আগাম সতর্ক হওয়ার চেষ্টা শুরু করেছে তারা।

Advertisement

পরজীবী ওই পোকার নাম ভারোয়া ডেস্ট্রাক্টর। গত সপ্তাহে সিডনির এক বন্দরে প্রথম খোঁজ পাওয়া যায় ভারোয়ার। তার কয়েক দিনের মধ্যেই ওই বন্দর থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরের একটি মৌচাকে ভারোয়া সংক্রমণের রিপোর্ট দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। তার পরই ওই মৌচাক এবং তার সংলগ্ন মৌমাছি চাষের এলাকাগুলিকে একটি বায়ো সিকিওরিটি জোনে ঘিরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া প্রশাসন।

উল্লেখ্য, ভারোয়াকে মৌমাছি দুনিয়ার সবচেয়ে ক্ষতিকর সংক্রামক বলে মনে করা হয়। এত দিন অস্ট্রেলিয়া এই সংক্রামক কীটমুক্ত ছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন