সমুদ্রের নীলটাও যেন বদলে বদলে যায় এখানে। কখনও আকাশি, কখনও সবুজ। জলের নীচের বালি দেখা যায় স্পষ্ট। জলের ওপর এক প্রমোদতরী।
সেই তরীতে ওবামা এবং কয়েক জন।
দেশের জনতার একটা বড় অংশ এখনও খুব মিস্ করেন তাঁদের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্টকে। কিন্তু তিনি, বারাক ওবামা? প্রেসিডেন্ট জীবনের স্মৃতিকথা লিখছেন আর চুটিয়ে বেড়াচ্ছেন। সঙ্গী স্ত্রী মিশেল। কখনও তাঁদের সঙ্গে থাকছেন ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা।
বিলাসবহুল নৌকোটা এখন ছুঁয়ে যাচ্ছে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়ার দ্বীপগুলো। নৌকোর মালিক ওর্যাকল কর্পোরেশনের সিইও ল্যারি এলিসন। ওই নৌকোয় ওবামা দম্পতির সঙ্গী অস্কারজয়ী অভিনেতা টম হ্যাঙ্কস, গায়ক ব্রুস স্প্রিংস্টিন, টিভি ব্যক্তিত্ব ওপরা উইনফ্রে। ওপরার সঙ্গে ওবামাদের ঘনিষ্ঠতা আগে থেকেই ছিল। হ্যাঙ্কস-স্প্রিংস্টিনকে সর্বোচ্চ অসামরিক মার্কিন সম্মান ‘অর্ডার অব ফ্রিডম’ দিয়েছিলেন ওবামাই।
তাহিতির এক খবরের কাগজ বলছে, সম্ভবত গত সোমবার ওবামা-মিশেলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বাকিরা। তার পর দলবেঁধে ঘুরছেন দ্বীপ থেকে দ্বীপে। প্রথমে ভ্যানিলা আইল্যান্ড। সেখান থেকে আর এক দ্বীপ। দ্বীপের নামটি ‘তাহা’! তাহা থেকে বোরা বোরা দ্বীপ। কাচের মতো স্বচ্ছ জলের ওপর খুঁটিতে বসানো খড়ের ছাউনির অত্যাধুনিক রিসর্ট। রিসর্টের বারান্দা থেকে নেমে যাওয়া যায় জল-ছোঁয়া পাটাতনে। সময় কাটানোর অজুহাত দরকার নেই!
প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের ধারেকাছে কিন্তু যাওয়া যাচ্ছে। এক পর্যটক বলেছেন, ‘‘ওবামা একসঙ্গে ছবিও তুলছেন। শর্ত হল, ছবিটা সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া যাবে না। উনি খুব ‘কুল’ লোক।’’
বেড়ানো শেষ হবে সম্ভবত টেতিয়ারোয়া দ্বীপে। ষাটের দশকে এই দ্বীপটা কিনেছিলেন ‘গডফাদার’ মার্লন ব্র্যান্ডো। তাঁর নামেই রিসর্ট— ‘ব্র্যান্ডো’। বন্ধুরা আসার আগে পর্যন্ত গত তিন সপ্তাহ ধরে এখানে ঘাঁটি গেড়েই স্মৃতিকথা লিখছিলেন ওবামা।
চারধারে প্রবাল প্রাচীর ঘেরা ছবির মতো উপহ্রদ। তারার আলোয় নাকি জ্বলে ওঠে।
আহা, স্প্রিংস্টিন নিশ্চয়ই গিটারটা এনেছেন!