ছবি: এএফপি।
গলায় মুক্তোর নেকলেস, কানে মুক্তোর দুল, সেই চেনা দুধসাদা চুল। মার্কিন ইতিহাসে দ্বিতীয় নারী (প্রথম অ্যাবিগেল অ্যাডাম), যাঁর স্বামী ও সন্তান, দু’জনেই দেশের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ৯২ বছর বয়সে মারা গেলেন জর্জ হারবার্ট ওয়াকার বুশের স্ত্রী, জর্জ ডব্লিউ বুশের মা, প্রাক্তন মার্কিন ফার্স্ট লেডি বারবারা বুশ। মৃত্যুর সময়ে তাঁর পাশে ছিলেন স্বামী ও সন্তানেরা।
স্বামীর ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং তার পর প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই রিপাবলিকান পার্টিতে দাপট তৈরি হয়েছিল বারবারার। ক্রমে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেন তিনি। কথা বলতেন খুব সাবলীল ভঙ্গিতে। পোশাক থেকে কথাবার্তা, সবেতেই নজরকাড়া।
সিনিয়র বুশের সঙ্গে দেখা হয়েছিল সাউথ ক্যারোলাইনার বোর্ডিং স্কুলে। স্কুল ডান্সে আলাপ। বারবারা তখন ১৬, আর বুশ ১৭। সেই প্রেমের শুরু। স্বামীর ৩০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে বরাবর তাঁর পাশে থেকেছেন বারবারা। টেক্সাসের মার্কিন প্রতিনিধি ছিলেন সিনিয়র বুশ। তার পর রাষ্ট্রপুঞ্জে মার্কিন দূত হওয়া, রিপাবলিকান পার্টির চেয়ারম্যান, চিনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত, সিআইএ-র ডিরেক্টর। রোনাল্ড রেগনের সময়ে দু’বারের ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। হোয়াইট হাউসের অধিপতি হন ১৯৮৮ সালে। ১৯৯৩ পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ওই বছর বিল ক্লিন্টনের কাছে হেরে যান তিনি। গোটা পর্বে যেমন স্বামীর অন্যতম সমালোচক ছিলেন, তেমনই ছিলেন পরামর্শদাতা।
আবার একই সঙ্গে নিজের মতো করে চালিয়ে গিয়েছেন নারীর অধিকার নিয়ে আন্দোলন। তাঁর প্রকাশ্য মতামত কখনও সাড়া ফেলে দিয়েছে, কখনও লোকে বাঁকা চোখে দেখেছেন। একবার যেমন, স্বামী তখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ছেন, বারবারা বললেন, ‘‘গর্ভপাত করার মতো বিষয় নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়।’’