এ কী হল কিমের!
তোপের মুখে বসিয়ে সেনা আধিকারিককে উড়িয়ে দেওয়া, নিজের পিসেমশাইকে বাঘের খাঁচায় পুরে দেওয়া— ভয়ানক সেই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম কি না বিবিসি-র এক সাংবাদিককে শুধুমাত্র দেশ থেকে তাড়িয়েই ক্ষান্ত হলেন! সারা বিশ্বের কাছে উত্তর কোরিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে একটা বড় কৌতূহল সব সময়েই থেকে গিয়েছে। কারণ দেশের কোনও খবরই বিশ্বের দরবারে পৌঁছনো মানেই কিমের হাতে সাক্ষাত্ মৃত্যু। আর সেই মৃত্যু ভয়ানকও বটে!
৪০ বছর পর সম্প্রতি সেখানে ওয়ার্কার্স পার্টি কংগ্রেসের অধিবেশনের আয়োজন করা হয়েছে। সেই উপলক্ষে বিবিসি-র একটি দল নোবেলজয়ী প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সেখানে গিয়েছিল। এ পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। কিন্তু, ওই সাংবাদিক তাঁর প্রতিবেদনে দেশের ভিতরের হালহকিকত বেশি করে আলোকপাত করেন। আর তাতেই রেগে অগ্নিশর্মা কিম। সঙ্গে সঙ্গে বিবিসি-র ওই সাংবাদিক রুপার্ট উইংফিল্ডকে আটক করা হয়। দীর্ঘ আট ঘণ্টা জেরার পর তাঁকে দিয়ে একটি মুচলেকা লেখানো হয়। তবে, অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনেই কিমের মতিগতির কিছু পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। যদিও কিম ওই দিন বলেছিলেন, ‘‘আক্রান্ত না হলে অন্য কারও উপর পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ করবে না উত্তর কোরিয়া।’’
আরও পড়ুন...