পাইলট পৃথুলা
বছর তিনেক আগে বাংলাদেশের রাজশাহী বিমানবন্দরে দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল একটি প্রশিক্ষণ-বিমান। সেই দুর্ঘটনায় আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় পাইলট তামান্না রহমান রিদ্ধির। নিজের ফেসবুক ওয়ালে সেই সময় পৃথুলা রশিদ প্রশ্ন তুলেছিলেন, এমন ঘটনা যদি প্রশিক্ষণ-বিমানে না হয়ে ৫০ জনের যাত্রী বিমানে হয়! আর ফায়ার ব্রিগেড আসতে আধঘণ্টা দেরি করে, তা হলে কী হবে?
ফেসবুক পোস্টটা ২০১৫-র এপ্রিলের। সোমবার কাঠমান্ডুগামী ইউএস-বাংলা বিমানের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ফার্স্ট অফিসার পৃথুলার। কী ঘটছে, তা বুঝে ওঠার আগে সিটবেল্ট পরা অবস্থাতেই সোমবার কাঠমান্ডুতে ঝলসে গিয়েছেন বম্বার্ডিয়ার কিউ ৪০০ বিমানের অন্তত ৪৯ জন আরোহী।
পৃথুলা ওই পোস্টে লেখেন, ‘আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশে সিট বেল্ট পরা উচিত নয়’। লিখেছিলেন কারণ, অভিযোগ উঠেছিল রাজশাহী বিমানবন্দরে বিমানে আগুন লাগার পরে সিট বেল্ট খুলে তামান্না বেরোতে পারেননি। বাংলাদেশের নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী পৃথুলা ২০১৬ সালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে পাইলট হিসেবে কাজে যোগ দেন। তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে পরিচিতেরা এখন স্মৃতিচারণ করছেন।