উপযুক্ত রাজনৈতিক গুণাবলি থাকতে হবে।
সমাজতন্ত্রী মাতৃ়ভূমিকে ভালবাসতে হবে।
শাসক দলের নেতৃত্বের প্রতি অনুগত হতে হবে।
পার্টি যা করতে বলবে, মন দিয়ে করতে হবে।
কোনও রাজনৈতিক বা সামরিক প্রশিক্ষণের ব্যাপার নয়। এই সব শর্ত রাখা হয়েছে চিনে শুক্রাণুদাতাদের জন্য। চিনেরই কাগজে বেরিয়েছে এ খবর। ‘থার্ড হসপিটাল অব পিকিং ইউনিভার্সিটি’ বুধবার থেকে শুক্রাণু দান নিয়ে একটি প্রচার কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সেখানেই রাখা হয়েছে এই সব শর্ত। সমাজতন্ত্র এবং পার্টির প্রতি আনুগত্য যাতে একেবারে জিনে ঢুকে যায়, তার জন্যই এই ব্যবস্থা বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও বিজ্ঞান বলে, শুক্রাণু দিয়ে এগুলো নির্ধারণ করা যায় না। রাজনৈতিক বোধ পুরোপুরি পরিবেশজাত। কলকাতার স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অভিনিবেশ চট্টোপাধ্যায়ও জানাচ্ছেন, জিন এক হলে বৌদ্ধিক রুচি বাবা-মায়ের মতো হবে, এমন কোনও প্রমাণ নেই। কলকাতার এক শুক্রাণু ব্যাঙ্কের কর্ণধার সুজয় দাস বলেন, ‘‘খেলোয়াড়, ডাক্তার, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের শুক্রাণু চাওয়া হচ্ছে, এমন অভিজ্ঞতা প্রায়ই হয়। আমরা বুঝিয়ে বলি, স্পার্ম দিয়ে পেশাদারি সাফল্য নিশ্চিত করা যায় না। রাজনৈতিক ধ্যানধারণা তো নয়ই।’’