সেই তরুণী। ছবি: ফেসবুক থেকে গৃহীত।
রাতের রাস্তায় সাহায্যের জন্য ছুটে বেড়াচ্ছেন এক তরুণী। সাদা টপের সঙ্গে মেরুন স্কার্ট পরা তরুণীর পোশাক এলোমেলো। তাঁর চিৎকার শুনে জড়ো হয়ে গেলেন পথচারীরা। তরুণী জানালেন, তাঁকে ধর্ষণ করে তাঁর সব কিছু কেড়ে নিয়ে পালিয়েছে এক যুবক। কিন্তু এই ঘটনা শোনার পর পথচলতি মানুষজন এমনকী, মহিলারাও যেসব কথা শোনালেন এবং কু-ইঙ্গিত করলেন, তা শুনলে লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যাবে। আপন মনে হয়তো প্রশ্ন করে বসবেন, এ কোন সমাজে বাস করি আমরা!
ঘটনা লেবাননের রাজধানী বেইরুটের রাস্তায়। ওই তরুণী ধর্ষণের কথা বলার পর তাঁকে সাহায্য করার বদলে উল্টে প্রশ্ন তুলে দিলেন তাঁর চরিত্র নিয়েই। কেউ বললেন, কল গার্ল। কেউ আবার প্রশ্ন করলেন, ড্রাগ নিয়েছেন কিনা। কারও বক্তব্য, এত ছোট পোশাক পরে রাতে ঘোরাফেরা করলে এই অবস্থার মুখোমুখি হওয়াটাই স্বাভাবিক। এক মহিলা পর্যন্ত বলে বসলেন, এখানে এসব কথা না বলতে। তাঁর বোন হলে নাকি এরকম পোশাক পরতে পারত না। অন্য এক জনের মন্তব্য, নির্ঘাত কল গার্ল, তাই তাঁর সঙ্গে এমন কাণ্ড ঘটেছে।
গোটা এই পর্বে এক ব্যক্তিকে শুধু একটি কোট পরিয়ে দিতে দেখা গিয়েছে। বাকি জনমানসের প্রতিক্রিয়া মোটামুটি এক। অথচ কাউকেই ধর্ষকের সম্পর্কে একটি প্রশ্নও করতে দেখা যায়নি।
সম্প্রতি এমনই একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছে লেবাননের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তার পর থেকেই ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে এই ভিডিয়ো।
আরও পড়ুন: ধূমপানে কী ভাবে ক্ষতি হয় ফুসফুসের? দেখাল শিল্পকলা..
আরও পড়ুন: মাগুর মাছের খাবার তৈরির আড়ালে ভাগাড়ের মাংস পাচার!
আসলে একটি ছিল একটি প্রচারের অংশ। মানাল নামে ওই তরুণী ধর্ষিতার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। যদিও পথচলতি মানুষের প্রতিক্রিয়া ছিল স্বাভাবিক। তাঁদের কেউ অভিনয়ের অংশ নয়। প্রচারের নাম ‘শেম অন হু’। সংস্থার উদ্দেশ্য, ধর্ষিতার প্রতি নয়, সমাজের ঘৃনা-বিদ্বেষ পোষণ করা উচিত ধর্ষকদের প্রতি। সেই প্রচারেরই অংশ এই ভিডিয়ো।