ভাবেয়া সুনেজা। ছবি সৌজন্য: ফেসবুক
ফিরতে চেয়েছিলেন নিজের দেশে। নিজের শহরে পরিবারের সঙ্গে থেকে কাজ করতে। কয়েকটি ভারতীয় বিমান সংস্থার সঙ্গে কথাবার্তাও এগিয়েছিল। কিন্তু সেই ফেরা আর হল না। তার আগেই ইন্দোনেশিয়ায় সলিল সমাধি হল দিল্লির ক্যাপ্টেন ভাবেয়া সুনেজার। বিমান দুর্ঘটনায় মারা গেলেন দিল্লির ময়ূর বিহার এলাকার দক্ষ পাইলট সুনেজা। ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ারের দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের ১৮৯ জনের মতো একই পরিণতি ক্যাপ্টেন সুনেজারও।
সোমবার সকাল ছ’টা ২০ মিনিটে জাকার্তা বিমানবন্দর ছাড়ার ১৩ মিনিটের মধ্যেই মাঝ সমুদ্রে ভেঙে পড়ে লায়ন এয়ারের যাত্রীবাহী বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি। কেবিন ক্রু ও যাত্রী মিলিয়ে ১৮৯ জনের কেউই আর বেঁচে নেই বলেই মনে করছেন উদ্ধারকারীরা। দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাত্রীদের বেশ কিছু সামগ্রী উদ্ধার করলেও এখনও বিমানের ভগ্নাবশেষের সন্ধান মেলেনি। উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েকটি মৃতদেহও।
এই বিমানেরই ক্যাপ্টেন ছিলেন ভাবেয়া সুনেজা। ভারতীয় একটি বিমান সংস্থার এক পদস্থ কর্তা সংবাদ মাধ্যমে বলেন, ‘‘এই জুলাই মাসেই ওর সঙ্গে কথা হয়েছিল। খুবই অমায়িক ছিলেন সুনেজা। ওঁর দক্ষতা, কর্তব্যপরায়ণতা ও দায়িত্ববোধ-সহ মোটের উপর ট্র্যাক রেকর্ডের জন্যই আমরা ওঁকে নিতে চেয়েছিলাম। ওঁর শুধু একটাই আর্জি ছিল, যেন দিল্লিতে পোস্টিং দেওয়া হয়।’’ ওই পদস্থ কর্তাও ক্যাপ্টেন সুনেজা এবং দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের যাত্রীদের জন্য প্রার্থনা করেছেন।
আরও পড়ুন: যাত্রী-সহ ১৮৯ জনকে নিয়ে মাঝ সমুদ্রে ভেঙে পড়ল ইন্দোনেশিয়ার বিমান
আরও পডু়ন: ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার ৭ বছর কারাদণ্ড, ১০ লাখ টাকা জরিমানা
সুনেজার লিঙ্কড ইন প্রোফাইল থেকে জানা গিয়েছে, দিল্লির ময়ূর বিহার এলাকারই অ্যালকন পাবলিক স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। এরপর আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার বেল এয়ার ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইং স্কুল থেকে স্নাতক হন। এমিরেটস-এ মাস তিনেক কাজ করার পর ২০১১ সালে লায়ন এয়ারে কাজে যোগ দেন। তারপর থেকে এই সংস্থাতেই কাজ করছিলেন। দীর্ঘ প্রায় আট বছরের কেরিয়ারে ছোটখাটো দুর্ঘটনারও কোনও নজির নেই। কিন্তু জীবনের প্রথম দুর্ঘটনাতেই প্রাণ গেল। দিল্লিতে আর ফেরা হল না সুনেজার।