বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। —ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশে নির্বাচনের দাবি ক্রমশ জোরালো হতেই ফের মুখ খুললেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর দাবি, কয়েক জনকে বিদেশ থেকে ভাড়া করে এনে দেশ চালানো যায় না। সরাসরি কারও নাম না-করলেও অনেকেরই অনুমান, ফখরুলের নিশানায় ছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে ধারাবাহিক ভাবে সুর চড়াচ্ছে খালেদা জিয়ার দল বিএনপি। শনিবার সে দেশে গত বছরের জুলাইয়ের আন্দোলন সংক্রান্ত একটি আলোচনাসভায় বক্তৃতা করছিলেন ফখরুল। সেখানেই বক্তৃতার একটি পর্যায়ে তিনি বলেন, “কয়েক জন ব্যক্তিকে বিদেশ থেকে ভাড়া করে এনে কি দেশ চালানো যায়? যায় না। এই সহজ-সরল কথাটা আমাদের উপলব্ধি করতে হবে।” বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশের সংস্কার এবং আমলাতন্ত্র নিয়ে বক্তৃতা করার সময়েই এই মন্তব্য করেন তিনি। তবে কার উদ্দেশে ফখরুল এই মন্তব্য করেছেন, তা নির্দিষ্ট করে উল্লেখ নেই ওই প্রতিবেদনে।
গত বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের জেরে ওই বছরেরই ৫ অগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়। তার পরে ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। বস্তুত, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আগে ইউনূস ছিলেন ফ্রান্সের প্যারিসে। হাসিনার পতনের পরে প্যারিস থেকে ঢাকায় আসেন তিনি এবং দায়িত্বগ্রহণ করেন। বিএনপি নেতা সরাসরি কারও নাম না করলেও অনুমান করা হচ্ছে ইউনূসকে খোঁচা দিয়েই ওই মন্তব্য করেছেন তিনি।
বস্তুত, গত কয়েক মাসে নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন ভাবে ইউনূস সরকারের উপর চাপ বৃদ্ধি করেছে খালেদার দল। গত বছরের অগস্টে প্রবল গণবিক্ষোভের চাপে পড়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন শেখ হাসিনা। তিনি ভারতে চলে আসেন। তার পর ৮ অগস্ট বাংলাদেশে নোবেলজয়ী ইউনূসের নেতৃত্বে গড়ে ওঠে অন্তর্বর্তী সরকার। কথা ছিল, বাংলাদেশে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে অন্তর্বর্তী সরকার সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করবে এবং গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা হবে। সেই নির্বাচনে দেরি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এরই মধ্যে ফের নাম না করে ইউনূসকে নিশানা করল বিএনপি।