Israel-Hamas Conflict

‘হামাস তো মরতেই চাইছে’! এ বার ইজ়রায়েলকে গাজ়ায় দ্রুত ‘কাজ শেষ’ করতে বললেন ট্রাম্প

ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, হামাস শান্তিবৈঠকে অনিচ্ছুক! এই পরিস্থিতিতে ইজ়রায়েলকে দ্রুত ‘গাজ়া পরিষ্কার করার কাজ’ শেষ করতে বলেছেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৫ ১২:০৪
Share:

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

গত ছ’মাস ধরে ধারাবাহিক চেষ্টা চালিয়েও সংঘর্ষবিরতি করাতে পারেননি তিনি। প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে নির্মূল করার লক্ষ্যে গাজ়া ভূখণ্ডে ধারাবাহিক অভিযান চালাচ্ছে ইজ়রায়েলি ফৌজ। এই আবহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেন তেল আভিভের সেই প্রচেষ্টাতেই সম্মতির সিলমোহর দিলেন!

Advertisement

ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, হামাস শান্তিবৈঠকে অনিচ্ছুক! এই পরিস্থিতিতে ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকারকে দ্রুত ‘গাজ়া পরিষ্কার করার কাজ’ শেষ করার বার্তা দিয়েছেন তিনি। ট্রাম্পের মন্তব্য, ‘‘হামাস আসলে কোনও চুক্তি করতে চায় না। আমার মনে হয় তারা মরতেই চাইছে।’’ প্রসঙ্গত, দু’সপ্তাহ আগে ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন গাজ়ায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইজ়রায়েল। আমেরিকার তরফে ইতিমধ্যেই সেই প্রস্তাব হামাসকে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, প্রেসিডেন্টের মন্তব্য, ‘‘হামাস যদি এই শর্তে রাজি না হয়, তা হলে ফল ভাল হবে না!’’

যদিও সেই শর্ত মানতে রাজি হয়নি হামাস। সূত্রের খবর, তেল আভিভের স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি ছাড়া একতরফা ভাবে সমস্ত ইজ়রায়েলি পণপন্দিকে মুক্তি দিতে নারাজ হয় তারা। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিম এশিয়ায় ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বৃহস্পতিবার জানান, ওয়াশিংটন যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতার উদ্যোগ থেকে সরে এসেছে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা এখন পণবন্দিদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা বিবেচনা করব। শুধু তা-ই নয়, গাজ়াবাসীর জন্য স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টাও করব আমরা।’’ আর তার পরেই এই বিবৃতি এল ট্রাম্পের তরফে। হামাসের অভিযোগ, ইজ়রায়েলকে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য মদত দিচ্ছে আমেরিকাই! অতীতে ট্রাম্পকে ‘গাজ়া দখল’ করার হুঁশিয়ারি দিতেও শোনা গিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, প্যালেস্টাইনিদের গাজ়া ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এ বার সরাসরি তিনি গাজ়াকে ধ্বংস করার বার্তা দিয়েছেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

২০২৩ সালের অক্টোবরে দক্ষিণ ইজ়রায়েলে হামলা চালিয়েছিল হামাস। তাতে প্রায় ১২০০ জনের প্রাণ গিয়েছিল। বন্দি করা হয়েছিল আড়াইশো জনকে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এখনও ৫০ জনের মতো ইজ়রায়েলি নাগরিক হামাসের হাতে বন্দি। ওই ঘটনার পর ইজ়রায়েলও পাল্টা হামাসের উপর হামলা চালায়। দীর্ঘ সংঘর্ষ চলার পর চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয় দু’পক্ষ। কিন্তু মার্চেই আবার সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে হামলা চালাতে শুরু করে ইজ়রায়েল। তাতেই ভেস্তে যায় ইজ়রায়েল-হামাস আলোচনা। বৃহস্পতিবার সকালে হামাস জানিয়েছিল, তারা ইজ়রায়েলের দেওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মানতে রাজি। তবে তাদেরও কিছু শর্ত রয়েছে। প্রধানত, সীমান্তে ইজ়রায়েলি সেনার আধিপত্য কমাতে হবে এবং বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে ইজ়রায়েল কত জন বন্দিকে মুক্তি দেবে, তা স্পষ্ট করতে হবে! হামাসের এই প্রতিক্রিয়ার পরই একে একে ইজ়রায়েল এবং আমেরিকা তাদের আলোচনাকারী দল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement