চলছে আলোচনা। —ছবি : সংগৃহীত
জাতীয় সংসদের পরবর্তী নির্বাচনকে ‘পাখির চোখ’ করে নিজেদের মধ্যে ঐক্য আরও দৃঢ় ও গতিশীল করার বিষয়ে ঐকমত্য হল বাংলাদেশের চারটি ইসলামি দল। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সেই উদ্যোগে শামিল হল না সে দেশের বৃহত্তম ইসলামপন্থী দল ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি’ (সে দেশে ‘জামাত’ নামে যার পরিচিতি)।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ জানাচ্ছে, শুক্রবার চারটি দল— ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস এবং নেজামে ইসলাম পার্টির নেতারা রাজধানী ঢাকায় বৈঠক করে ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক পদক্ষেপের বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন ‘চরমোনাইর পীর’ নামে পরিচিত ইসলামি আন্দোলনের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। ঢাকার পল্টনে তাঁর দলের সদর দফতরেই ওই বৈঠক হয়।
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনার জমানায় জামায়াতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। গত বছরের ৫ অগস্ট হাসিনা সরকারের পতন এবং মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসার পর জামায়াত এবং ছাত্র শাখা ‘ছাত্র শিবিরের’ উপর থেকে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এর পরে গত এক বছর ধরে ধীরে ধীরে অন্তর্বর্তী সরকারের উপর প্রভাব বেড়েছে ‘১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি’ হিসেবে পরিচিত জামায়াতের। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিএনপি, বিভিন্ন বামপন্থী শক্তি এমনকি, অন্যান্য ইসলামি দলগুলিও তা নিয়ে ক্ষুব্ধ বলে রাজনৈতিক সূত্রের খবর। এ বার কি জামায়াতের সেই ক্রমবর্ধমান প্রভাব রুখতেই ঐক্যবদ্ধ হল চার ইসলামি দল?