Blast in Pakistan

পাকিস্তানের মাদ্রাসায় নমাজের সময়ে বিস্ফোরণ, মৃত উপাচার্য-সহ অন্তত পাঁচ, আহত বহু

উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের যেখানে মাদ্রাসাটি রয়েছে, সেই অংশ তালিবান অধ্যুষিত। মনে করা হচ্ছে, আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে ওই মাদ্রাসায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:৫১
Share:

ছবি: এক্স।

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের দারুল উলুম হাক্কানিয়া মাদ্রাসায় বিস্ফোরণ। শুক্রবারের নমাজের সময়ে সেই বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচ জন। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন মাদ্রাসার উপাচার্য তথা ধর্মীয় নেতা মৌলানা হামিদুল হক হাক্কানি। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা মহম্মদ আলি সইফ। বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধির আশঙ্কা করছে পুলিশ এবং প্রশাসন। উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের এই অংশ তালিবান অধ্যুষিত। মনে করা হচ্ছে, আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার দায় কোনও সংগঠন স্বীকার করেনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা এপি জানিয়েছে, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের আক্কোরা খাট্টাক জেলায় রয়েছে ওই মাদ্রাসা। ওই সংবাদ সংস্থার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাদ্রাসাটির যোগ রয়েছে আফগান তালিবানদের সঙ্গে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ এবং উদ্ধারকারী দল। জেলা পুলিশ প্রধান আবদুল রশিদ জানিয়েছেন, বিস্ফোরণ কী ভাবে ঘটানো হল, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। খাইবার পাকতুনখোয়ার ইনস্পেক্টর জেনারেল জুলফিকর হামিদ একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তের পরে মনে করা হচ্ছে, মাদ্রাসায় আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। সম্ভবত উপাচার্য হাক্কানিই নিশানা ছিল হামলাকারীদের।’’

হাক্কানিয়া হলেন ওই মাদ্রাসার উপাচার্য। তাঁর বাবা মৌলানা আবদুল হক হাক্কানিয়া ওই মাদ্রাসা ১৯৪৭ সালে তৈরি করেছিলেন। বাবার মৃত্যুর পরে হাক্কানিয়া জামিয়াত উলেমা-ই-ইসলাম (সামি)-র প্রধান হয়েছেন। গত বছর পাকিস্তানের ধর্মীয় নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে আফগানিস্তানে গিয়েছিলেন হাক্কানি। সেখানে তালিবান নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। এর পরে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, এই বৈঠকের পরে দুই দেশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি দূর হবে। অতীতে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর হত্যায় হাক্কানির মাদ্রাসার পড়ুয়াদের নাম জড়িয়েছিল। যদিও মাদ্রাসার তরফে সেই অভিযোগ খারিজ করা হয়েছিল। এ বার কেন সেই মাদ্রাসাকেই নিশানা করা হল, তা খতিয়ে দেখছে পাকিস্তানের পুলিশ।

Advertisement

এই বিস্ফোরণের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ঘটনার রিপোর্ট তলব করে আহতদের সব রকম চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement