পিছু হটেও ভয় দেখাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়

বম্ব সাইক্লোন ইতিমধ্যেই ম্যাসাচুসেটসের পথে পথে বরফ গলা জলের তোড় বইয়ে দিয়ে খেল্‌ দেখিয়েছে। আটটি প্রদেশের নানা অংশে এক ফুটেরও উঁচু তুষারের স্তূপ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নিউ ইয়র্ক শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:৫২
Share:

কনকনে: বরফ ঝড়ে কাবু নিউ ইয়র্ক। ব্রুকলিন ব্রিজের সামনে। ছবি: রয়টার্স

পূর্ব উপকূলের (ইস্ট কোস্ট) বাসিন্দাদের জন্য সুখবর। বোমা-ঘূর্ণিঝড় (বম্ব সাইক্লোন) ধীরে ধীরে পিছু হটছে। কিন্তু বিপদ কাটেনি উত্তর-পূর্বের।

Advertisement

পূর্ব উপকূলও চটজলদি ছন্দে ফিরতে চলেছে, এমন মনে করার কোনও কারণ নেই বলে দাবি আবহাওয়াবিদদের। সপ্তাহান্তেও শক্তিশালী ঝোড়ো হাওয়া আর হাড় কাঁপানো ঠান্ডা পূর্ব এবং মধ্য-পশ্চিম উপকূলে। রাতে তাপমাত্রা শূন্যের নীচেই থাকবে। তীব্র ঠান্ডা হাওয়ার জেরে নিউ ইয়র্কে মাইনাস ১৫ এবং বস্টনে মাইনাস ২৫-এর আশপাশে থাকবে তাপমাত্রা।

বম্ব সাইক্লোন ইতিমধ্যেই ম্যাসাচুসেটসের পথে পথে বরফ গলা জলের তোড় বইয়ে দিয়ে খেল্‌ দেখিয়েছে। আটটি প্রদেশের নানা অংশে এক ফুটেরও উঁচু তুষারের স্তূপ। বিদ্যুৎহীন বহু জায়গা। বৃহস্পতিবার বস্টন বন্দরে জোয়ারের জল উঠে যায় ১৫.১ ফুট উঁচ্চতায়। ১৯৭৮ সালের পরে এই প্রথম এমনটা হতে দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। অতলান্তিক মহাসাগর থেকে আসা জল ভাসিয়ে দিয়েছে বস্টনের পথঘাট। এখানকার ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস টুইট করে জানিয়েছে, উপকূল থেকে দূরে থাকুন। ম্যাসাচুসেটসের উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দারা বাড়িঘর ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। গাড়ি ডুবে গিয়েছে বরফের স্তূপে।

Advertisement

বরফের-চাদর: নিউ ইয়র্কের রাস্তায়। ছবি: শ্রেয়া ঘোষ।

গোটা সপ্তাহ জুড়ে ঝড়ের প্রকোপে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৭ জন। উইসকনসিনে ছ’জন, টেক্সাসে চার জন, নর্থ ক্যারোলাইনায় তিন জন এবং মিশিগান, মিসৌরি, নর্থ ডাকোটা এবং ভার্জিনিয়ায় এক জন করে মারা গিয়েছেন। পূর্ব উপকূলের পাঁচটি প্রদেশ থেকে খবর এসেছে, অন্তত ১৩ হাজারের কাছাকাছি মানুষ বিদ্যুৎহীন। হিমাঙ্কের অনেক নীচে থাকা তাপমাত্রায় বিদ্যুৎ না থাকায় তৈরি হয়েছে ভয়ঙ্কর সঙ্কট।

তবে তার মধ্যেই অন্য আনন্দে মেতেছে ফ্লরিডা। তিন দশক পরে সেখানে তুষারপাত দেখার সৌভাগ্য হয়েছে বাসিন্দাদের। রাজধানী টালাহাসিতে বাড়ির ছাদে ০.২৫ সেন্টিমিটার বরফ দেখে উল্লসিত তাঁরা। স্থানীয় লোকজনের পাশাপাশি পুলিশও টুইটারে এই ব্যতিক্রমী ছবি ও ভিডিও শেয়ার করতে ব্যস্ত। তবে আনন্দের পিছনেই বিপদের পূর্বাভাসও রয়েছে। উত্তর-পূর্ব ফ্লরিডায় এই বরফ স্তর ৫-৭ সেন্টিমিটার ছুঁতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। টালাহাসি বিমানবন্দরে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে অসংখ্য বিমান। শুক্রবার বাতিল হয়েছে এক হাজার বিমান। বৃহস্পতিবারই বাতিল করতে হয়েছিল ৪৩০০ বিমান। জেএফকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শুক্রবার সকাল থেকে খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন