জল দিয়ো গাছটায়, মিনতি চোরকেই

‘আবোল তাবোল’-এ হেড অফিসের বড়বাবুর গোঁফ চুরির পরে অফিস জুড়ে শোরগোলের ঘটনা অনেকেরই জানা। অফিস না হলেও জাপানি বৃদ্ধ লিমুরা দম্পতির বাগানে বনসাই চুরিও কম চাঞ্চল্যকর নয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

টোকিয়ো শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:০৮
Share:

ফাইল চিত্র।

‘আবোল তাবোল’-এ হেড অফিসের বড়বাবুর গোঁফ চুরির পরে অফিস জুড়ে শোরগোলের ঘটনা অনেকেরই জানা। অফিস না হলেও জাপানি বৃদ্ধ লিমুরা দম্পতির বাগানে বনসাই চুরিও কম চাঞ্চল্যকর নয়। তাঁদের সাধের বাগান থেকে চুরি গিয়েছিল সাত-সাতটি বনসাই। তালিকায় ছিল ৪০০ বছরের প্রাচীন একটি জুনিপার

Advertisement

গাছও। এই ঘটনার পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় চোরের উদ্দেশে সেই গাছের পরিচর্যার পরামর্শ দিলেন ফুয়ুমি ও তাঁর স্বামী সেইজি লিমুরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় মনমরা বৃদ্ধের আবেগপ্রবণ সেই পোস্ট ভাইরাল হতেও সময় লাগেনি খুব একটা।

টোকিয়োর সাইতামায় বাগান রয়েছে এই বৃদ্ধ দম্পতির। সেখান থেকেই চুরি যায় বনসাই-সহ বাকি গাছগুলি। যার আর্থিক মূল্য ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮৩ লক্ষ টাকা। তবে অর্থে নয়, বনসাইগুলির সঙ্গে অন্য আবেগ জড়িয়ে রয়েছে ওই দম্পতির।

Advertisement

ওই ফেসবুক পোস্টে তাঁরা জানিয়েছেন, বনসাইগুলি তাঁদের কাছে সন্তানসম। ১৮৬৮ সাল থেকে এর একটি বনসাই তাঁদের পরিবারের কাছেই রয়েছে। চুরি যাওয়া

শিম্পাকু জুনিপারটিও দুষ্প্রাপ্য। আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতীয় মুদ্রায় এর মূল্য প্রায় ৬৪ লক্ষ টাকা।

লিমুরা লিখেছেন, ‘‘আমাদের যে কী অবস্থা তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। ওরা আমাদের কাছে খুবই মূল্যবান। আমাদের

শিম্পাকুটির বয়স ৪০০ বছর! বলাই বাহুল্য এগুলির ঠিকঠাক পরিচর্যার প্রয়োজন রয়েছে। জল ছাড়া এক সপ্তাহের বেশি বাঁচবে না গাছগুলি।’’ তাঁরা চান, চোর যেন এর উপযুক্ত পরিচর্যা করে।

দম্পতির বিশ্বাস, তাঁদের মৃত্যুর পরেও বেঁচে থাকবে এই গাছটি।

এই পোস্টটি দেখার পর বনসাই সংগ্রাহক থেকে শুরু করে অনেক সাধারণ মানুষও সহমর্মিতা জানিয়েছেন লিমুরা দম্পতির প্রতি। তবে মন খারাপ হলেও বাগানের বাকি বনসাইগুলিকে অবলম্বন করেই জীবন কাটাচ্ছেন লিমুরা দম্পতি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন