ইস্তফার ঘোষণা ক্যামেরনের, চূড়ান্ত অব্যাহতি অক্টোবরে

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে দিলেন ডেভিড ক্যামেরন। ব্রেক্সিট গণভোটে ক্যামেরনের আহ্বানের বিপরীতে গিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন ব্রিটেনের অধিকাংশ মানুষ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৬ ১৯:০৯
Share:

গণভোটের ফল ঘোষিত হওয়ার পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন সাংবাদিক<br> বৈঠকে জানাচ্ছেন ইস্তফার কথা। লন্ডনে, শুক্রবার। ছবি: রয়টার্স।

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে দিলেন ডেভিড ক্যামেরন। ব্রেক্সিট গণভোটে ক্যামেরনের আহ্বানের বিপরীতে গিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন ব্রিটেনের অধিকাংশ মানুষ। এই রায়কে ব্যক্তিগত পরাজয় হিসেবেই দেখলেন ক্যামেরন। তাঁর প্রতি দেশবাসী আস্থা হারিয়েছেন বলেই মনে করছেন এই কনজারভেটিভ নেতা। তাই প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত কনজারভেটিভ নেতার। অক্টোবরেই ইস্তফা দিচ্ছেন বলে সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন ক্যামেরন।

Advertisement

গণভোটের ফল ঘোষিত হওয়ার পরে শুক্রবার সকালে সাংবাদিক সম্মেলন করেন ক্যামেরন। ১০ ডাউনিং স্টিটের সরকারি বাসভবনের সামনেই সাংবাদিক সম্মেলন করেন তিনি। ক্যামেরন জানান, আগামী অক্টোবরেই তিনি প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন। ক্যামেরন বলেন, ‘‘আমি মনে করি যে দেশকে পরবর্তী গন্তব্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য অধিনায়ক হিসেবে আমার আর কাজ করা উচিত নয়।’’ কনজারভেটিভ পার্টির বার্ষিক ্অধিবেশনে নতুন নেতৃত্ব উঠে আসা উচিত বলে ক্যামেরন মন্তব্য করেন। তত দিন পর্যন্ত জাতীয় স্বার্থে দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষার সব রকম চেষ্টা তিনি করবেন বলে ক্যামেরন জানান। ইউরোপীয় ইনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া কবে থেকে শুরু হবে, নতুন প্রধানমন্ত্রীই তা ঠিক করবেন বলে ডেবিড ক্যামেরন জানিয়েছেন। অর্থাৎ ক্যামেরনের শাসনকালের শেষ চারটে মাসও ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়নেই থেকে যাচ্ছে। তিনি ইস্তফা দেওয়ার পরে নতুন মন্ত্রিসভা শুরু করবে ব্রেক্সিটের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া।

টানা ১৫ বছর লেবার পার্টির শাসনের পর ক্যামেরনের হাত ধরেই ব্রিটেনের শাসন ক্ষমতায় ফিরেছিল কনজারভেটিভ পার্টি। নির্বাচনে ব্রেক্সিট বড় ইস্যু ছিল। ক্যামেরন নির্বাচনী প্রচারেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কনজারভেটিভ পার্টি ক্ষমতায় এলে ব্রেক্সিট নিয়ে গণভোট হবে। ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার ব্রিটেনের নাগরিকদের হাতেই ছেড়ে দেওয়া হবে। প্রতিশ্রুতি রেখেছেন ক্যামেরন। কিন্তু তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার পক্ষেই ছিলেন। দেশবাসীকে তিনি ব্রেক্সিটের বিপক্ষে রায় দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকলেই ব্রিটেন বেশি নিরাপদ এবং স্থিতিশীল থাকবে বলে দেশবাসীকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। দেশজুড়ে প্রচার চালিয়েছিলেন ব্রেক্সিটের বিরোধিতায়।

Advertisement

আরও পড়ুন: ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষেই রায় দিল ব্রিটেন

ভোটের ফলাফলে দেখা গিয়েছে, ব্রিটেনের ৪৮.১ শতাংশ মানুষ ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার পক্ষে। ৫১.৯ শতাংশ মানুষ ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার পক্ষে। এই ফলাফলকে নিজের পরাজয় হিসেবেই দেখেছেন ডেভিড ক্যামেরন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন