BRICS Summit

ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের আগে সম্প্রসায়ণ চেয়ে ভারতের উপর চাপ বাড়াল চিন এবং রাশিয়া

কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, চিনে উদ্দেশ্য হল আমেরিকার নেতৃত্বাধীন জি৭-এর সমকক্ষ একটি আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী তৈরি করা, যার রাশ থাকবে চিনের হাতে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২৩ ২৩:৪২
Share:

আগামী ২২ অগস্ট থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে শুরু হচ্ছে তিন দিনের ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন। ছবি: রয়টার্স।

পঞ্চদশ শীর্ষ সম্মেলন শুরুর আগেই ব্রিকস (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকা) রাষ্ট্রগোষ্ঠীর সম্প্রসারণ নিয়ে ভারতের উপর চাপ বাড়াল চিন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সেই উদ্যোগে শামিল হল রাশিয়াও! আগামী ২২ অগস্ট থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে শুরু হচ্ছে তিন দিনের ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন। তার আগে সোমবার আনুষ্ঠানিক ভাবে চিনের তরফে ব্রিকস সম্প্রসারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই আবহেই জোহানেসবার্গে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, চিনে উদ্দেশ্য হল আমেরিকার নেতৃত্বাধীন জি৭-এর সমকক্ষ একটি আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী তৈরি করা, যার রাশ থাকবে চিনের হাতে। অর্থাৎ পুরনো ব্লক রাজনীতির ধাঁচে আমেরিকার বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী অক্ষ তৈরি করা। আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দুনিয়ায় মোকাবিলার জন্য সেই উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

সূত্রের খবর, ব্রিকস-এ যোগ দেওয়ার জন্য ৪০টির মতো দেশ আবেদন করে বসে রয়েছে। আর্জেন্টিনা, আলজিরিয়া, ইরান, কিউবা, কঙ্গো, কাজ়াকস্তান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, পাকিস্তান, বাংলাদেশের মতো দেশ রয়েছে তালিকায়। তাদের মধ্যে কাকে নেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা আসন্ন সম্মেলনে শুরু করবে চিন। জিনপিং সরকার চেষ্টা করবে যে সব দেশে তাদের অর্থনৈতিক প্রভাব এবং আধিপত্য বেশি তাদের ব্রিকস গোষ্ঠীতে অন্তর্ভুক্ত করতে। ভারত এখনই তাড়াহুড়ো করে কোনও দেশের অন্তর্ভুক্তি চাইছে না।

Advertisement

ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত পাঁচটি দেশের ঐকমত্য না হলে বিধি অনুযায়ী নতুন কোনও দেশ সদস্য হতে পারবে না। ফলে ভারত না চাইলে একতরফা ভাবে চিন বা রাশিয়ার পক্ষে কোনও দেশকে সদস্য করা সম্ভব নয়। আবার রাশিয়া ও চিনের যুগপৎ চাপ দীর্ঘদিন ধরে প্রতিহত করাও কঠিন বলে কূটনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন। মোদী সরকারের মতে, ব্রিকসে আরও দেশকে অন্তর্ভুক্ত করার আগে এই গোষ্ঠীকে আরও মজবুত এবং নিখুঁত করার দিকে নজর দেওয়া উচিত। যাতে সব কাজ ঠিক মতো হয়। অন্য আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর মতো ব্রিকসের কোনও নির্দিষ্ট সচিবালয় এখনও নেই। বহু মেকানিজ়ম রয়েছে যার নিয়মিত ব্যবহার হয় না। আবার একই কাজের জন্য একাধিক মেকানিজ়ম রয়েছে। এগুলিকে আগে সংস্কার করা প্রয়োজন বলেই মনে করে ভারত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন