first kiss

জীবনদায়ী চুম্বন! প্রথম ডেটিংয়েই মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এলেন ইনি

শুধুমাত্র প্রিয় জনের ঠোঁটের উষ্ণ ছোঁয়া। আর তাতেই বেঁচে গেল প্রাণ।  ক্যালিফোর্নিয়ার এই যুগলের মনের মধ্যে থেকে যাবে এই ঘটনা। সারা জীবন তাঁরা চাইলেও ভুলতে পারবেন না।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১২:১৩
Share:

আলেকজান্ডার বেকারের ভিডিয়ো থেকে স্ক্রিন শট নেওয়া হয়েছে।

প্রতি চুম্বনে স্থির!

Advertisement

শুধুমাত্র প্রিয় জনের ঠোঁটের উষ্ণ ছোঁয়া। আর তাতেই বেঁচে গেল প্রাণ। ক্যালিফোর্নিয়ার এই যুগলের মনের মধ্যে থেকে যাবে এই ঘটনা। সারা জীবন তাঁরা চাইলেও ভুলতে পারবেন না।

ঘটনাটি গত বছর অক্টোবরের হলেও প্রকাশ্যে এসেছে সম্প্রতি। ৫৬ বছরের ম্যাক্স মন্টগোমারির সঙ্গে ডেটে গিয়েছিলেন ড. অ্যান্ডি ট্রেনর। সান্তা ক্রুজ ব্রিজে প্যাডেল বোর্ডিংয়ের ইচ্ছে ছিল তাঁদের। আচমকাই বুকে মারাত্মক ব্যথা অনুভব করেন ম্যাক্স।

Advertisement

জল থেকে উঠেই মাটিতে পড়ে যান তিনি। কিন্তু ট্রেনর একজন পেশাদার চিকিৎসক। ম্যাক্সের এরকম সমস্যা বুঝতে পেরেই অভিনব পন্থা নেন ট্রেনর। কারণ চিকিৎসক হিসাবে সিপিআর জানতেন তিনি। সেই সময়ই ঠোঁটে তীব্র চুমু খান ট্রেনর। আর বুকে চাপ দিতে থাকেন।

সিপিআর কি?

কোনও কারণে যখন হৃৎপিণ্ড এবং ফুসফুসের স্বাভাবিক কার্যকলাপ বন্ধ হয়ে যায়, তখন সাময়িক ভাবে হৃদপিণ্ড ও ফুসফুসের কাজ কিছু সময় চালিয়ে মস্তিষ্কে রক্ত এবং অক্সিজেন সরবরাহ করাকে বলে ‘কার্ডিও-পালমোনারি রিসাসিটেশন’। চুম্বনের মাধ্যমে তাই করে গিয়েছেন ট্রেনর।

আরও পড়ুন: কুকুরের পাশাপাশি পুলিশে কি এ বার খরগোশও? ছবি ঘিরে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া

ম্যাক্সের জীবন বাঁচাতে চুম্বন করেছেন ট্রেনর। আর বুকে চাপ দিয়ে গিয়েছেন, যতক্ষণ না ডিফাইব্রিলেটর ব্যবহার করা যায়। প্রায় ১৭ মিনিট হৃদযন্ত্রের স্পন্দন বন্ধ ছিল ম্যাক্সের। চিকিৎসকরা ডিফাইব্রিলেটর দিয়েই হৃদযন্ত্রের সঙ্কোচন করেন এই জাতীয় বিপদের সময়। শক দিয়ে ফিরিয়ে আনা হয় হৃদযন্ত্রের স্পন্দন।

আরও পড়ুন: মাছকে সতেজ দেখাতে নকল পাথরের চোখ!

এই যুগলকে উদ্ধার করার ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করেন আলেকজান্ডার বেকার। তিনি বলেন, ‘এটা কিস অব লাইফ’। পর দিনই ম্যাক্সের করোনারি বাইপাস সার্জারি হয়। পরস্পরের মধ্যে আরও প্রেম বেড়ে গিয়েছে তাঁদের। প্রথম চুম্বনে ছিল না কোনও রোম্যান্স। তবে সেরে ওঠার পর ফের ওই সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে গিয়েছিলেন দু’জনে। আর তখন ম্যাক্সকে নাকি ট্রেনর বলেছেন, ‘ইউ ক্যান কিস মি ফর রিয়্যাল নাউ।’

(সারা বিশ্বের সেরা সব খবর বাংলায় পড়তে চোখ রাখতে পড়ুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন