ছবি: এএফপি।
একই রাস্তায় হাঁটতে চায় নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডও।
গত ২৫ মে গর্ভপাত বিরোধী আইন শিথিল করার দাবিতে গণভোটের আয়োজন হয়েছিল আয়ারল্যান্ডে। বিপুল ভোটে জেতেন হ্যাঁ-পন্থীরা। এর পরেই একই দাবি উঠেছে ব্রিটেনের অন্তর্ভূক্ত নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডেও। এত দিন ধরে আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দারা লুকিয়ে লন্ডন কিংবা ওয়েলসে এসে গর্ভপাত করাতেন। কিন্তু ব্রিটেনের অন্তর্গত নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডেও গর্ভপাত করানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
ব্রিটেনের একাধিক কনজারভেটিভ এমপি-র বক্তব্য, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের বস্তাপচা গর্ভপাত আইনটির এ বার সংস্কার প্রয়োজন। ওয়েস্টমিনস্টারের স্বাস্থ্য কমিটির শীর্ষে থাকা সারা ওলাস্টনের কথায়, ‘‘ব্রিটেনের অন্য অঞ্চলের বাসিন্দাদের সমতূল্য অধিকার পাওয়া উচিত নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের মহিলাদেরও।’’
যদিও এই সিদ্ধান্তে বেঁকে বসেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। গত কাল আয়ারল্যান্ডের ফল ঘোষণার পরে কিন্তু নিজেই ‘আইরিশদের অভিনন্দন’ জানিয়ে টুইট করেছিলেন। নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড প্রসঙ্গে ডাউনিং স্ট্রিটের বক্তব্য, ‘‘এটা সম্পূর্ণই ওদের নিজস্ব বিষয়। ওদেরকেই সামলাতে দেওয়া হোক।’’
এর পিছনে অবশ্য রাজনীতির অন্য অঙ্ক দেখছেন কূটনীতিকরা। এমনিতেই নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের রাজনৈতিক পরিস্থিতি টালমাটাল। দেশের প্রধান দু’টি রাজনৈতিক দল ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টি (ডিইউপি) এবং শেন ফেন-এর মধ্যে আসন বণ্টন চুক্তি ভেঙে পড়ার পর ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাস থেকে সেখানে কোনও সরকার নেই। আয়ারল্যান্ডের গণভোটে ডাবলিনের দুর্গ ভেঙে পড়ার পর থেকেই সেখানে গর্ভপাত আইন নিয়ে রাজনীতি শুরু হয়ে গিয়েছে। শেন ফেন বলছে, ‘‘এ বার নর্থ।’’ কিন্তু আর এক প্রধান দল ডিইউপি গর্ভপাত বিরোধী আইন শিথিল করার বিরোধী। কট্টরপন্থী দলটির বক্তব্য, আইন শিথিল করলেই অপরাধ বাড়বে। ভোট-ব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখেই হয়তো এই অন্তর্কলহে ঢুকতে চাইছেন না মে।