কাবুলে গাড়ি-বোমা বিস্ফোরণ, নিহত ৩৫

এ বছর আফগানিস্তানে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছে ১৭০০ জনেরও বেশি মানুষের। দেশের সীমান্ত এলাকায় মার্কিন আর ন্যাটো বাহিনীর সহায়তায় একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটিতে অভিযান চালাচ্ছে আফগান নিরাপত্তা বাহিনী। গত সপ্তাহেই সীমান্তবর্তী একটি জেলাকে তালিবান মুক্ত বলে ঘোষণা করেছে আফগান সরকার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কাবুল শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৭ ০৩:২৪
Share:

ঘটনাস্থলে তদন্তকারীরা। ছবি: রয়টার্স।

ফের রক্তাক্ত আফগানিস্তানের রাজধানী। এ বার নিশানায় সরকারি আধিকারিক এবং গোয়েন্দারা। আজ সকালের ব্যস্ত সময়ে কাবুলের পশ্চিম প্রান্তে এক আত্মঘাতী গাড়ি-বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। আহতের সংখ্যা চল্লিশ ছাড়িয়েছে। হামলার এলাকাটিতে মূলত শিয়া সম্প্রদায়ের মুসলিমদের বাস। ঘটনাস্থল থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে রয়েছে সরকারের ডেপুটি চিফ এগ্‌জিকিউটিভ মহম্মদ মোহাকিকের বাড়ি।

Advertisement

এ বছর আফগানিস্তানে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছে ১৭০০ জনেরও বেশি মানুষের। দেশের সীমান্ত এলাকায় মার্কিন আর ন্যাটো বাহিনীর সহায়তায় একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটিতে অভিযান চালাচ্ছে আফগান নিরাপত্তা বাহিনী। গত সপ্তাহেই সীমান্তবর্তী একটি জেলাকে তালিবান মুক্ত বলে ঘোষণা করেছে আফগান সরকার। কোণঠাসা এই জঙ্গিগোষ্ঠী এখন তাই মাথা তুলে দাঁড়ানোর মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহে দেশের নানা প্রান্তে একের পর এক হামলা চালিয়েছে তারা। মে মাসের শেষে কাবুলের দূতাবাস এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৮০ জনের মৃত্যু হয়।

আজ জঙ্গিরা হামলার জন্য বেছে নিয়েছিল সরকারি গোয়েন্দাদের। হামলার পরপরই তালিবানের মুখপাত্র গোটা ঘটনার দায় স্বীকার করে টুইট করে। সেখানেই বলা হয়, মূলত গোয়েন্দাদের মারাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। গত দু’সপ্তাহ ধরে গোয়েন্দাদের বাসে বিস্ফোরণ ঘটানোর ছকও করছিল তারা। কিন্তু আফগান অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের মুখপাত্র নজীব দানিশ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, যে বাসে আজ হামলা চলে সেটিতে ছিলেন সরকারি খনি সংস্থার আধিকারিকরা। বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে তাঁদেরই। গোয়েন্দাদের বাসটি অক্ষত রয়েছে। হামলায় কোনও ক্ষতি হয়নি এক জন গোয়েন্দারও। তবে তিনি জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাই নিহতদের সংখ্যা বাড়তে পারে।

Advertisement

আজ স্থানীয় সময় সকাল এগারোটা নাগাদ একটি সরকারি বাস বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। আশপাশের প্রায় ৫০টি দোকান ও পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরও চারটি বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আলি আহমেদের দোকান রয়েছে কাছেই। তিনি বলেন, ‘‘বিকট একটা শব্দের পরেই দেখি দোকানের জানলার কাচগুলো ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। বুঝতে পারি বড় বিস্ফোরণ হয়েছে। বেরিয়ে এসে দেখি ভয়াবহ ছবি। রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাচ্ছেন কেউ। কেউ আবার
নিথর পড়ে। হামলায় বাসটি পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে।’’

বিকেলের দিকে পড়শি দেশ পাকিস্তানেও আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। পাক সরকার জানিয়েছে, লাহৌরের মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের কাছে ওই হামলাতেও বেছে বেছে পুলিশ কর্মীদের নিশানা করা হয়েছে। মারা গিয়েছেন ২৬ জন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন