রাজাপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাঁর নিয়োগকে এখনই বৈধতা দিতে চাইছে না নয়াদিল্লি। ছবি: এএফপি।
চলতি স্নায়ুযুদ্ধের দিকে সতর্ক নজর রাখছে সাউথ ব্লক। তবে কোনও ভাবেই আগ বাড়িয়ে সমর্থন করার বার্তা দেওয়া হচ্ছে না কোনও পক্ষকে।
সূত্রের খবর, ভারতীয় নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য সঙ্কেত পাঠাচ্ছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট-নিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে। কিন্তু রাজাপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাঁর নিয়োগকে এখনই বৈধতা দিতে চাইছে না নয়াদিল্লি।
চিন তড়িঘড়ি রাজাপক্ষেকে অভিনন্দন জানানোর পরে কিছুটা চাপে পড়েছে ভারত। ভারতমিত্র হিসেবে পরিচিত রনিল বিক্রমসিংহেকে সরিয়ে রাজাপক্ষেকে দিয়ে ক্ষমতা দখলের এই ঠান্ডা যুদ্ধে চিনের যে একটি বড় ভূমিকা রয়েছে, নয়াদিল্লির কাছে তা অস্পষ্ট নয়। ২০০৫ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত দশ বছরের শাসনকালে রাজাপক্ষে চিনের কাছ থেকে দেদার ঋণ নিয়ে পরিকাঠামো উন্নয়ন করেছিলেন। নতুন করে ক্ষমতায় এসে চিনকে তার প্রতিদান দিতে পারেন তিনি, এমন আশঙ্কা অমূলক নয়। চিনও তার যথাযথ সদ্ব্যবহার করবে বলেই মত কূটনীতিকদের।